নেদারল্যান্ডসের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডাম যেন এখন এক গভীর সংকটে! ফুটবল-অর্থনীতি দুই ক্ষেত্রেই ধরা খেয়েছে ক্লাবটি। আর সেই সংকট কাটাতে ক্লাব যে পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে, তা বোঝাতে সাত খেলোয়াড়কে ছাঁটাই করা হয়েছে—তাও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে!
২০২৪-২৫ মৌসুমে পিএসভির পেছনে থেকে লিগ শেষ করে আয়াক্স। শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয় (২-০ বনাম টোয়েন্টে), দুটি ড্র এবং দুটি বড় হার (০-৪ বনাম উত্রেখট ও ০-৩ বনাম এনইসি) হতাশার চিত্রই তুলে ধরে। ফলাফল—ফ্রান্সেস্কো ফারিওলির পদত্যাগ এবং ক্লাবের ঐতিহাসিক পুনর্গঠনের ঘোষণা।
নতুন কোচ হিসেবে ক্লাব ফিরিয়ে এনেছে লিজেন্ডারি জন হেইটিংগাকে। কিন্তু সেই ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু হয়েছে অনন্য এক সিদ্ধান্ত দিয়ে। ক্লাবের সাতজন খেলোয়াড়—চুবা আকপম, কার্লোস ফর্বস, বোর্না সোসা, ক্রিশ্চিয়ান রাসমুসেন, ক্রিস্টিয়ান হ্লিনসন, জে গোরটার এবং ব্রানকো ভ্যান ডেন বুমেন—একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়ে জানতে পারেন, আগামী মৌসুমে তাদের ক্লাবে প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয়, ক্লাবের ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি এমনকি পার্কিং লটেও তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে!
খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ মাত্র এক বছর আগেই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। ফর্বসকে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আনতে আয়াক্স ব্যয় করেছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা, আকপমের জন্য মিডলসব্রোকে দেওয়া হয় ১৫ কোটি টাকা, আর বোর্না সোসার জন্য স্টুটগার্টকে ১০ কোটি টাকার বেশি।
অর্থনৈতিক চাপে থাকা আয়াক্স এই খেলোয়াড়দের বিক্রি করে বাজেট ঘাটতি সামলাতে চায়। বিশাল বিনিয়োগের পর প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় ক্লাবের কড়া সিদ্ধান্তের বলি হয়েছেন তারকা খেলোয়াড়রাও।
ফুটবলে পেশাদারিত্বের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, আয়াক্সের এমন ব্যবস্থাপনা ফুটবল বিশ্বে হতবাক প্রতিক্রিয়া ডেকেছে। ক্লাব পুনর্গঠন যেমন জরুরি, তেমনি খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান দেখানোও আধুনিক ফুটবলের অংশ। এখন দেখার বিষয়, আয়াক্স এই রদবদলের মাধ্যমে মাঠের ফলাফলে কতটা পরিবর্তন আনতে পারে।
মন্তব্য করুন