

ফুটবল দুনিয়ায় ‘রোনালদো’ নামটি যেন এক উত্তরাধিকার। মাঠে গর্জে ওঠে গোল, আলো ঝলমল ক্যারিয়ার, আর গর্বিত এক পরিবার। এবার সেই পরিবারের আরেক সদস্যও পর্তুগালের জার্সি গায়ে নাম লেখালেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে—ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়র।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বাবার দেশের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামলেন রোনালদো জুনিয়র, সংক্ষেপে ‘ক্রিশ্চানিনহো’। তুরস্কে অনুষ্ঠিত ফেডারেশনস কাপ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে তার যাত্রার সূচনা হলো পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে। ম্যাচটিও জিতেছে পর্তুগাল ২-০ গোলে।
এই বিশেষ দিনটিতে পরিবারের সবচেয়ে গর্বিত সদস্য ছিলেন সম্ভবত রোনালদোর মা, দোলোরেস আভেইরো। ম্যাচের আগে নাতির ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘চলো পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৬ দল!’
দাদির সেই শুভকামনাই যেন মাঠে প্রেরণা হয়ে কাজ করেছে ছোট রোনালদোর জন্য।
আল-নাসরের যুবদলে খেলার পাশাপাশি এর আগে জুভেন্তাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমিতেও অনুশীলন করেছেন রোনালদো জুনিয়র। ছোটবেলা থেকেই ফুটবল তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু; কিন্তু সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—বাবার নামের ওজন বহন করা।
তবে রোনালদো সিনিয়র জানেন চাপ কীভাবে সামলাতে হয়। তিনি বলেন, ‘ও খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ, একদম আমার ছোটবেলার মতো। কিন্তু আমি বেশি চাপ দিই না। ওর ওপর এমনিতেই অনেক প্রত্যাশা আছে। আমি শুধু চাই, ও নিজের ভুলগুলো থেকে শিখুক এবং নিজের মতো করে বেড়ে উঠুক।’
২০০১ সালে একই বয়সে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে অভিষেক হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। সেখান থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে উঠে যাওয়া, এরপর জাতীয় দলে দ্রুত জায়গা পাওয়া—বাকি ইতিহাস সোনায় মোড়া। ইউরো ২০১৬ জয়, ২০১৯ সালে নেশনস লিগ ট্রফি, আর পর্তুগালের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া—সবই রোনালদোর অধ্যায়ের অংশ।
এখন সেই গল্পের নতুন অধ্যায় শুরু হলো ছেলের পায়ে।
মন্তব্য করুন