ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির ট্রফির অভাব নেই। ফুটবল বিশ্বে দলীয় বা ব্যক্তিগত যেসব ট্রফি জয় সম্ভব সবই জয় করেছেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো এই ফুটবল মহাতারকা। ফুটবল বিশ্বে ব্যক্তিগত অর্জনকে সম্মান জানানো সবচেয়ে বড় পুরস্কার ধরা হয় ব্যালন ডি’অরকে। ফুটবলের এই ক্ষুদে জাদুকরের এই সোনালি ট্রফি আছে আটটি। তবে এবার এক ফুটবলার দাবি তুললেন অক্টোবরে অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি না কি তার দ্বিতীয় ব্যালন ডি’অরের যোগ্য ছিলেন না।
২০২৩ সালে রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতেন লিওনেল মেসি। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরার খেতাব জেতা আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ২০১০ সালে জেতেন দ্বিতীয় ব্যালন ডি’অর। তবে সেবার নাকি বর্ষসেরা মেসি নয় যোগ্য ছিলেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্লে-মেকার ওয়েসলি স্নাইডার। ২০১০ ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার ছিলেন তিনি নিজে এমন দাবিই করলেন স্নাইডার।
২০০৯-১০ মৌসুমটা অসাধারণ কেটেছিল ওয়েসলি স্নাইডারের। তার তখনকার ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইতালিয়ান সিরি আ এবং ইতালিয়ান কাপের ট্রেবল জিতেছিলেন এই ডাচ তারকা। এ ছাড়া ২০১০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের রানার্সআপ হওয়ার পেছনেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে ২০০৯-১০ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে শুধু লা লিগার শিরোপা জিতেন লিওনেল মেসি। আর ২০১০ বিশ্বকাপে মেসির আর্জেন্টিনা বিদায় নিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্নাইডার বলেন, ‘২০১০ সালে আমি ব্যালন ডি’র না জিতে মেসির জেতাটা আমার কাছে ছিল কিছুটা অন্যায্য।’
অবশ্য দলীয় অর্জনে এগিয়ে থাকলেও ২০০৯-১০ মৌসুমে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে স্নাইডারের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন মেসি। মৌসুমজুড়ে বার্সেলোনার হয়ে ৫৩ ম্যাচে ৪৭ গোলের সঙ্গে ১২টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
বিপরীতে ইন্টার মিলানের হয়ে ৪১ ম্যাচ খেলে ৮ গোল করেছিলেন স্নাইডার। অ্যাসিস্ট ১৫টি। ২০১০ ব্যালন ডি’অর নিজের দাবি করলেও সেবার সেরা তিনেই জায়গা হয়নি ওয়েসলি স্নাইডারের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছিলেন মেসির ক্লাব সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা এবং জাভি হার্নান্দেজ।
স্নাইডার অবশ্য ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় প্রাপ্তিকেই এগিয়ে রাখছেন। নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে ১৩৪ ম্যাচে ৩১ গোল করা স্নাইডার এ নিয়ে বলেন, ‘কিন্তু আমি এমন লোক নই যে এ নিয়ে চিৎকার করব। ব্যালন ডি’অর ব্যক্তিগত পুরস্কার। আমি দলীয় ট্রফিতে বিশ্বাসী। আমাকে যদি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ব্যালন ডি’অরের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হয়, আমি চ্যাম্পিয়নস লিগই পছন্দ করব। আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিততে পেরেই খুশি।’
মন্তব্য করুন