শক্তি কিংবা পরিসংখ্যান, সব দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে কুয়েত। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দলটির অবস্থান ১৪১ নম্বরে। বিপরীতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২-এ। এরপরও মানসিকভাবে পিছিয়ে নন বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। কুয়েতের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাটি কামড়ে লড়বে তার দল। এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই স্প্যানিশ কোচ।
১৪ বছর পর সাফের ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। যাতে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘কুয়েতের মুখোমুখি হওয়ার জন্য এবং অনেক দিন পর সেমিফাইনাল খেলার জন্য আমরা প্রস্তুত এবং রোমাঞ্চিত। তীব্র লড়াইয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী এবং ফাইনালে ওঠার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
পারফরম্যান্সের বিচারে আসরের সেরা দল কুয়েত। তাই আমন্ত্রিত দলটির প্রতি সমীহের কমতি নেই ক্যাবরেরার। শেষ দুই ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও দারুণ জয় তুলে নেওয়ায় আত্মবিশ্বাসী এই স্প্যানিশ কোচ।
নিজেদের পরিকল্পনায় প্রতিপক্ষকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলতে চান বাংলাদেশ কোচ, ‘আমরা সবসময় প্রতিপক্ষদের ভালোভাবে পর্যালোচনা করি, সবসময় নিজেদের প্রস্তুতিকে প্রাধান্য দেই। সবসময় চেষ্টা করি প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিতে। আগামীকালও (শনিবার) কৌশল তাই হবে। আমরা নিজেদের খেলা খেলব এবং চেষ্টা করব কুয়েতকে বিস্ময় উপহার দেওয়ার।’
এ সময় ক্যাবরেরা নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন, ‘কেবল ট্রানজিশনের সময় নয়, কুয়েত সবসময় পজিশনাল প্লে’তে ভালো। তাদের ভালো কম্বিনেশন, ভালো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যনির্ভর খেলোয়াড় আছে। জামালও বলেছে, তারা তৈরি কুয়েতের জন্য। আশা করি, কাল আমরা তাদের বিপক্ষে লড়ব এবং পরিস্থিতি তাদের জন্য কঠিন করে তুলব।’
হতাশার বৃত্ত ভেঙে ১৪ বছর পর বাংলাদেশকে সাফের সেমিফাইনালে তুলেছেন তিনি। ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের ফাইনালে খেলার হাতছানি জামাল-তপুদের সামনে। তাই তো এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না ক্যাবরেরা, ‘প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে… সেমিফাইনালে উঠে ছেলেরা সবাই খুশি এবং গর্বিত। আমি মনে করি, আপনি যখন সেমিফাইনালে উঠবেন, তখন ফাইনালে উঠতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আমরাও করব।’
মন্তব্য করুন