সর্বজয়ী বার্সেলোনা ফুটবল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেই পরিচিত ছিল ব্রাজিলের রাইটব্যাক দানি আলভেজের। একসময় ছিলেন ফুটবলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ট্রফির মালিকও। যার স্থান হওয়ার কথা ছিল ফুটবল রূপকথায় সেই ফুটবলারের স্থান এখন স্পেনের কাতালুনিয়ার ব্রায়ানস টু কারাগারে। ধর্ষণের দায়ে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। তবে ধর্ষণের সাজা হওয়ায় বেশ মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন তিনি। এমন খবরও রটেছে যে কারাগারে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তবে এই খবরের সত্যতা কতটুকু?
রোববার (১০ মার্চ) ভোরে সামাজিক মাধ্যম ‘এক্সে’ এক ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক দাবি করেন ব্রায়ান টু কারাগারে সাজার শাস্তিতে থাকা আলভেজ আত্মহত্যা করেছেন। বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান সংবাদপত্র ও গ্লোবোর সাংবাদিক পাবলো আলবুকুয়েরে এক্সে এই দাবি করেন। তিনি সরাসরি দাবি করেন, ‘আমার কাছে পাওয়া তথ্য অনুসারে আলভেজ আত্মহত্যা করেছেন।’
তার এই পোস্টের পরই সামাজিক মাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। তবে তিনি তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। আর আনুষ্ঠানিক কোনো সূত্র থেকে সংবাদটি মিথ্যা বা সত্য বলে অভিমত না আসায় অনেকের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়। বিশেষ করে তার মামলার রায় হওয়ার পর আলভেজের সংকটাপন্ন মানসিক অবস্থাও অনেককে খবরটি সত্য বলে ভাবতে বাধ্য করে।
অবশ্য স্বস্তির খবর হলো এক্সে পোস্ট করার কিছুক্ষণ পর খবরটি মিথ্যে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানানো হয়। সাংবাদিকের এই পোস্টেই পরে এক্স কর্তৃপক্ষ সংবাদটিকে মিথ্যে বলে কমিউনিটি নোট দেয়। আলভেজের ভাই এ রকম গুজবে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, ‘আমার ভাইকে মেরে ফেলার জন্য সবাই উঠেপড়ে লেগেছে।’
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ব্রাজিলের সাবেক খেলোয়াড় দানি আলভেজকে সাড়ে চার বছর কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন স্পেনের আদালত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মামলা হয় আলভেজের বিরুদ্ধে।
বার্সেলোনার আদালত রায়ে বলেছেন, ‘ভুক্তভোগীর সম্মতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদীর করা ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’ ভুক্তভোগীকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো দেওয়ার জন্য আলভেজকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন