দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬৫০ জনের বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সর্বশেষ নির্বাহী কমিটির সভায় প্রাথমিক বহর চূড়ান্ত করা হয়। ২০২৬ সালের ২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানের লাহোর, ফয়সালাবাদ ও ইসলামাবাদে এ গেমস আয়োজিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের বড় বহরের মধ্যে ক্রীড়াবিদ ৪৯০ জন, বাকি ১৬০ জন অফিসিয়ালের তালিকা করা হয়েছে। বিওএ ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব এ কে সরকার কালবেলাকে জানিয়েছেন, ২৮ ডিসিপ্লিনের সবগুলোতে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। যদিও ট্রায়াথলনে অংশগ্রহণ করার বিষয় নিশ্চিত নয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া অপশনাল হিসেবে রাখা হয়েছে রোয়িং।
সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশ যে ডিসিপ্লিনে অংশগ্রহণ করবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো- আরচারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, ক্রিকেট, ফেন্সিং, ফুটবল, গলফ, হ্যান্ডবল, হকি, জুডো, কাবাডি, কারাতে, শুটিং, স্কোয়াশ, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ানদো, টেনিস, ভলিবল, ভারোত্তোলন, রেসলিং, উশু, রাগবি এবং বিলিয়ার্ড অ্যান্ড স্নুকার।
গেমসের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে সর্বোচ্চ কতজন ক্রীড়াবিদ পাঠানো যাবে, তার একটা তালিকা আয়োজকরা সরবরাহ করেছে। সে তালিকা ধরে বাংলাদেশ বিভিন্ন ডিসিপ্লিন ও ইভেন্টে কাটছাঁট করে ৪৯০ জন ক্রীড়াবিদের প্রাথমিক একটা বহর চূড়ান্ত করেছে। বাজেট এবং গেমস থেকে প্রাপ্তির সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে কন্টিনজেন্ট চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিওএর কর্মকর্তারা।
বিগত আসরগুলোতে দল প্রস্তুত করার বিষয় বিওএ তদারকি করলেও এবার এ দায়িত্ব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) ওপর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রস্তুতি শুরু এবং তদারকি করার মতো পর্যাপ্ত লোকবল আদৌ আছে তো এনএসসির! কারণ সূক্ষ্মভাবে নজরদারি করা না হলে গেমসের আগে প্রশিক্ষণ খাতে অর্থ খরচ হলেও ক্রীড়াবিদদের প্রস্তুত করার কাজ প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে। অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসর সামনে রেখে নানা নেতিবাচক ঘটনায় সে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গেমসের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদ ও অফিসিয়ালের তালিকা চূড়ান্ত করা হলেও এখনো প্রস্তুতি শুরুর তোড়জোড় লক্ষ করা যাচ্ছে না।
ট্রেনিং শুরুর বিষয়ে বিওএ ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব এ কে সরকার কালবেলাকে বলছিলেন, ‘গেমস সামনে রেখে আমরা বিভিন্ন ডিসিপ্লিন চূড়ান্ত করতে কাজ করছি। এবার ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) অনুরোধ করা হয়েছে। অ্যাথলেটদের প্রস্তুত করার কার্যক্রম এনএসসি পরিচালনা করলেও বিওএ কর্মকর্তারা সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। গেমসে সামনে রেখে প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তালিকায় কাটছাঁট করা হবে। কিছু ডিসিপ্লিনের কয়েকটি ইভেন্ট বাদ যেতে পারে, যুক্ত হতে পারে অন্যান্য ইভেন্ট। সম্ভাবনার ভিত্তিতে কাটছাঁট করা হবে।’
মন্তব্য করুন