বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনকে ২৯২ দিনের ব্যবধানে চারটি চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব চেস প্লেয়ার্স বাংলাদেশ। সবই খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত; কিন্তু এ বিষয়ে কর্ণপাত করেননি দাবা নিয়ন্ত্রকরা। শেষ পর্যন্ত দাবাড়ুদের কঠোর অবস্থানের মুখে টনক নড়েছে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের।
দাবি আদায়ের জন্য চলমান জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই দাবা প্রতিযোগিতাকে বেছে নেন দাবাড়ুরা। অ্যাসোসিয়েশন অব চেস প্লেয়ার্স বাংলাদেশ সদস্যদের উপস্থিতিতে অংশগ্রহণকারী দাবাড়ুরা আসরটিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানান। কয়েক ঘণ্টা অচলাবস্থার পর দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আঞ্জুমান আরা আকসির ও মাহমুদা হক চৌধুরী মলি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করলে জটিলতার অবসান হয়।
দাবাড়ুদের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে অ্যাসোসিয়েশন অব চেস প্লেয়ার্স বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শওকত বিন ওসমান শাওন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছিলাম; কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাদের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছিলাম না। এ কারণে আমরা কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি বলেন, জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার বাছাইয়ে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের দৈনিক ভাতা বৃদ্ধির দাবি মেনে নিয়েছে ফেডারেশন। কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন, অন্যান্য দাবির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক দীপু কালবেলাকে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের প্রধান দাবি ছিল দৈনিক ভাতা বৃদ্ধি করা হোক। দাবিটা খুবই যৌক্তিক। কারণ ঢাকায় অবস্থান করে ৪০০ টাকার মধ্যে প্রতিদিনের খাবার খরচ মেটানো কঠিন। সাধারণ সম্পাদক (সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম) দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এ কারণে আরেক যুগ্ম সম্পাদকের (ড. শোয়েব রিয়াজ আলম) সঙ্গে আলোচনা করে দৈনিক ভাতা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় উন্নীত করেছি আমরা।’
অ্যাসোসিয়েশন অব চেস প্লেয়ার্স বাংলাদেশ দাবাড়ুদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির যে দাবি জানিয়েছে, তার অন্যতম হচ্ছে শীর্ষ খেলোয়াড়দের বেতন কাঠামোর মধ্যে আনা। সে দাবি আদৌ পূরণ হবে তো!
মন্তব্য করুন