কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশে আইফোন ১৭ কেনার আগে যেসব বিষয় জানতে হবে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

অ্যাপল ২০০৭ সালে প্রথম আইফোন উন্মোচন করে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে এবারের পরিবর্তনকে ‘সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ হিসেবে দাবি করেছেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। আইফোন ১৭ সিরিজ এসেছে বাজারে। এর ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব। পাশাপাশি ক্যামেরার মান ও পারফরম্যান্সের গতি বাড়ানো হয়েছে।

এরই মধ্যে বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, টোকিও স্কয়ার ও শাহ আলী প্লাজার মতো জনপ্রিয় স্মার্টফোন বাজারগুলোতে আইফোন ১৭-এর নতুন মডেল পাওয়া যাচ্ছে। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে।

বর্তমানে আইফোন ১৭ (২৫৬ জিবি) বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। আর সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম পেরিয়ে গেছে ২ লাখ টাকা।

তবে জানা যায়, আগামী কয়েক সপ্তাহে সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নামতে পারে।

তবে নতুন আইফোন ১৭ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে গ্রে মার্কেট থেকে কেনার সময়।

গ্রে মার্কেট থেকে আইফোনে কেনা যেসব ঝুঁকি দেখা দিতে পারে-

অফিসিয়াল ওয়ারেন্টির অভাব : বিদেশ থেকে কেনা আইফোনে বাংলাদেশে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ফোন নষ্ট হলে অ্যাপলের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে মেরামতের সুযোগ পাওয়া যায় না।

ভুয়া বা রিফার্বিশড হওয়ার ঝুঁকি : অনেক সময় আসল মডেলের সঙ্গে নকল বা পুনর্নির্মিত (রিফার্বিশড) সেট মিশে যেতে পারে।

সফটওয়্যার আপডেটের সীমাবদ্ধতা : কিছু মডেলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যার বা নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে। ৫G / LTE / 4G ব্যান্ডগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি না দেখতে হবে। কিছু বিদেশি ইউনিটে স্থানীয় ব্যান্ড সাপোর্ট নাও থাকতে পারে।

অতিরিক্ত খরচ : অফিসিয়াল রিটেইলার/অথরাইজড ডিলার হলে প্রাইস একটু বেশি হতে পারে। এ ছাড়া অফিসিয়াল সাপোর্ট না থাকায় রিপেয়ারিং বা পার্টস পরিবর্তনে বাড়তি খরচ বহন করতে হয়।

সীমিত বিক্রয়োত্তর সেবা : ট্রাবলশুটিং বা টেক সাপোর্টের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের সম্পূর্ণভাবে রিসেলারদের ওপর নির্ভর করতে হয়।

বিশ্ববাজারে আইফোন ১৭ সিরিজ ইতোমধ্যেই দারুণ সাড়া জাগিয়েছে, বিশেষ করে চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতীয় বাজারে। এর মধ্যে প্রো ম্যাক্স মডেল বিক্রির শীর্ষে রয়েছে।

বাংলাদেশে এখনো অফিসিয়াল লঞ্চ না হলেও আইফোন ১৭-এর আগমন প্রমাণ করে দিয়েছে, অ্যাপলের জন্য এ দেশ একটি সম্ভাবনাময় বাজার। গ্রে মার্কেটে ক্রেতাদের উচ্ছ্বাসই পরিষ্কার করে দিচ্ছে—এখানে ব্র্যান্ডটির প্রভাব যথেষ্ট শক্তিশালী।

সূত্র : জুমবাংলা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

কোমর ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণ কী?

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতারা, রাশেদের ক্ষোভ প্রকাশ

ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন, বিমানবন্দর-স্কুল বন্ধ ঘোষণা

ফিরে গেলেন হিল্লোল-নওশীন

ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

রাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি ছাত্রদলের 

উত্তরবঙ্গের কয়েক জেলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাস ধর্মঘট

ডাকসু নির্বাচনে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছি : আবিদ

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় যবিপ্রবির ৯ গবেষক

১০

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা কি গেল?

১১

যুবদল কর্মীর শরীরে ৪২ কোপ, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এ্যানি

১২

বাংলাদেশে ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা কেমন হতে পারে?

১৩

ব্র্যাক এনজিও-তে দুদিন ছুটিসহ কক্সবাজারে চাকরির সুযোগ

১৪

মাদ্রাসায় না এসেও নিয়মিত ‘বেতন-ভাতা তুলছেন’ অধ্যক্ষ

১৫

স্কয়ার গ্রুপে অপারেটর পদে নিয়োগ

১৬

সাইনোভিয়া ফার্মায় চাকরির সুযোগ, স্নাতক পাসেই করতে পারবেন আবেদন

১৭

সাগরে লঘুচাপ, ৩ ঘণ্টায় ঢাকায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি

১৮

জুবিনের ডেথ সার্টিফিকেটে জানানো হয়েছে মৃত্যুর কারণ

১৯

বিশ্ব গন্ডার দিবস আজ

২০
X