

স্মার্ট টিভি এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের ঘরের একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস। কিন্তু এই সুবিধার সঙ্গে আসে ব্যক্তিগত তথ্যের ঝুঁকি।
আপনার দেখার অভ্যাস, সার্চ হিস্ট্রি, অবস্থান, এমনকি ভয়েস কমান্ড—সবই স্মার্ট টিভি সংগ্রহ করতে পারে। কখনো কখনো এই তথ্য কোম্পানি বা তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হয় বিজ্ঞাপন বা বিশ্লেষণের জন্য।
নিরাপত্তা দুর্বল হলে হ্যাকাররা সহজেই আপনার তথ্য চুরি করতে পারে। ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ঘরের অভ্যন্তরীণ দৃশ্য বা কথোপকথনও ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- স্মার্ট টিভির সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করুন
- প্রাইভেসি সেটিংস চেক করে অপ্রয়োজনীয় ডেটা শেয়ার বন্ধ করুন
- ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ব্যবহার সীমিত করুন
- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
আইনি ও সচেতনতার গুরুত্ব: বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকলেও স্মার্ট ডিভাইসের ক্ষেত্রে সচেতনতা কম। টিভি কেনার আগে প্রাইভেসি নীতিমালা ও নিরাপত্তা ফিচার ভালোভাবে যাচাই করা উচিত।
স্মার্ট টিভি আমাদের জীবন সহজ করেছে; কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্যের ঝুঁকি এড়াতে নিরাপত্তা ও সচেতনতা বজায় রাখা জরুরি।
সূত্র : প্রযুক্তি
মন্তব্য করুন