কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২০৩১ পর্যন্ত কর অব্যাহতি চায় আইসিটি খাতের সংগঠনগুলো 

কাওরানবাজারে বেসিস কার্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক পাঁচ সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলন। সৌজন্য ছবি
কাওরানবাজারে বেসিস কার্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক পাঁচ সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলন। সৌজন্য ছবি

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা (আইটিইএস) খাতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চান খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলো।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর কাওরানবাজারে বেসিস কার্যালয়ে এই খাতের ৫টি সংগঠন এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) নেতারা অংশ নেন।

বেসিস সভাপতি রাসেলটি আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যদি করের আওতায় আনা হয়, সেটা মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশও হবে না। এসময়ে শুধু সরকারের এই অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। যেহেতু সরকার দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়, তাই এই খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ। কমপক্ষে ২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর কর অব্যাহতির দাবি করছি এবং এ ব্যাপারে বেসিস সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারেও চিঠি দিয়েছে।

বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা উচিত। বাংলাদেশের স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে বিনিয়োগ করে, সেক্ষেত্রে কর অব্যাহতির ফলে কেবল মাত্র এই ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাই কর অব্যাহতির সুবিধা বলবৎ রাখার কোনো বিকল্প নেই।

বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সাফল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা এই খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের ফলেই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে সরকার মনে করছে এই শিল্প খাত থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। কিন্তু এই শিল্পে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মরত পেশাজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান এবং মূল্য সংযোজন কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হবে, পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা এই শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে।

সভায় আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাব-এর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনও উপস্থিত থেকে নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে মতামত তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমানে চলমান কর অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবৈধ সম্পদ অর্জনে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গরু ও কার্পেট ব্যবসার আড়ালে করত ইয়াবা ব্যবসা

ঘুরে ঘুরে শিশু অপহরণ, মুক্তিপণ না দিলেই বিক্রি

রেলের কর্মকর্তারা স্লো : জিল্লুল হাকিম

বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন

ঢাকায় প্রাইভেটকারে আগুন 

কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নীতি সহায়তার অভাবে বিকশিত হচ্ছে না দেশীয় কসমেটিকস খাত

এলাকার উন্নয়নে আমাকে ব্যবহার করুন : সাবেক মন্ত্রী রুহুল হক

মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন ইয়ামি

১০

ইরানের নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বললেন পুতিন

১১

থাইল্যান্ডে বুদ্ধ পূর্ণিমা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করলেন বিপ্লব বড়ুয়া

১২

আবুল মনসুর আহমদ-অধ্যাপক মযহারুল ইসলামের স্মরণে একক বক্তৃতা

১৩

শোরুম ম্যানেজার নেবে যমুনা গ্রুপ, পদ ৩০

১৪

ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্র-বৃষ্টির শঙ্কা

১৫

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

১৬

মৌসুম শেষে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো কত টাকা করে পাচ্ছে?

১৭

নারায়ণগঞ্জে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

১৮

গোরস্থান, মাদ্রাসার দান বাক্স ভেঙে চুরি

১৯

‘শরীফ থেকে শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়ার সুপারিশে এইচআরএফবি’র প্রতিবাদ

২০
X