মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি

গাজীপুরের একটি রিসোর্টে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা। ছবি : কালবেলা
গাজীপুরের একটি রিসোর্টে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা। ছবি : কালবেলা

যৌনপল্লী উচ্ছেদ হওয়ায় ভাসমান যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। যৌনকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সন্ত্রাসী এমনকি এলাকাবাসীর কাছেও বিভিন্নভাবে নির্যাতিত এবং হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই কাজের জায়গাটিকে মানবিক এবং স্বচ্ছ করা প্রয়োজন৷

বুধ ও বৃহস্পতিবার (১-২ মে) গাজীপুরের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ‘যৌনকর্ম : পেশা বা কর্ম? নারী আন্দোলনের অমীমাংসিত বিষ ‘ শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষ এবং সেক্স ওয়ার্কার্স অ্যান্ড অ্যালাইস সাউথ এশিয়া যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে৷

কর্মশালায় রংপুর থেকে আসা যৌনকর্মী ইসমত আরা আলো বলেন, রংপুরে কোনো যৌনপল্লী নেই। যৌনকর্মীরা রাস্তায় থাকেন। তাদের নানাভাবে নির্যাতিত হতে হয়। আমরা যে নিজের আনন্দের জন্য যৌনকর্ম করি না। পেটের টানে করি। ৫০ টাকা পেলে ১০ টাকা দিয়ে কনডম কিনি না। এক কেজি চাল কিনি।

গবেষক ও নারীপক্ষের সদস্য মাহীন সুলতান বলেন, যৌনকর্মীরা দেশের নাগরিক, তাদেরও মৌলিক অধিকার আছে। যৌনকর্মীদের দাবি আদায়ে যখন আন্দোলন শুরু হলো, তখন যৌনকর্মীদের মধ্যেও এই ধারণাটা ছিল না যে এটা একটা কাজ। তারা ভাবতো তারা নষ্ট। আন্দোলনের একটা বড় অর্জন এখন সবাই বলে এটা যৌনকর্ম। যিনি এই কাজটা করেন, তিনি যৌনকর্মী, পতিতা নন।

নারীপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ফিরদৌস আজীম বলেন, যৌনকর্মীদের সঙ্গে এক প্লেটে খাব না। এক সঙ্গে বসব না। এই ধারণা ভাঙতে হবে। যৌনকর্মকে ট্রাফিকিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়। দুটো ভিন্ন জিনিস। দেশ থেকে যে ছেলেরা যাচ্ছে, তাদের আমরা ট্রাফিকিং বলি না, বলি কাজের সন্ধানে যাচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলি ট্রাফিকিং৷ এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

নারীপক্ষের সদস্য শিরীন হক বলেন, আমি আর যৌনকর্মী একই জায়গার মানুষ। আমাদের মধ্যে কেবল একটা লাইন আছে৷ আমি কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়ে জন্মেছি বলে আমি এখানে, আর সে কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়ে জন্মায়নি বলে সে ওখানে। তার জীবনে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সে ওখানে৷ সেও নারী। আমিও নারী। তাহলে তার সঙ্গে সংহতি জানাতে সমস্যা কোথায়।

উৎস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবা মাহমুদ বলেন, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই কাজের জায়গাটাকে মানবিক এবং স্বচ্ছ করা দরকার।

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, আমাদের যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া যৌনকর্মীরা তাদের জন্য সরকারের কাছে পৃথক জায়গা বরাদ্দের দাবি জানান। একই সঙ্গে এই কর্মে জড়িত নারীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং তাদের সন্তানদের জন্য শিশু যত্ন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করার আহবান জানান। স্বাগত বক্তব্য দেন নারী পক্ষের রীতা দাশ রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাহানারা খাতুন জলি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

কবরস্থান-মসজিদ রক্ষায় রেলকর্মীদের আলটিমেটাম

এককভাবে সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান

১০

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যের প্রতারণা, সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার

১১

কোরআনে হাফেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১২

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে তুরস্ক

১৩

৫ দিনের মাথায় আবারও গুলি করে যুবককে হত্যা

১৪

আ.লীগ নেত্রী আকলিমা তুলি গ্রেপ্তার

১৫

এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে, কীভাবে?

১৬

ভৈবর নদে তলিয়ে গেল সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট জাহাজ

১৭

অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় লিপটন কারাগারে 

১৮

আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২১

১৯

তারেক রহমানের বক্তব্য বিকৃত করছে একটি গোষ্ঠী : আবিদ

২০
X