মাদকের দৌরাত্ম্য এবং দরিদ্রতার জন্য বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না। স্পিরিট ফাউন্ডেশনের শেয়ারিং সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) মিরপুরের কারিদাতাস মিলনায়তনে খেলাধুলার মাধ্যমে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করা স্পিরিট ফাউন্ডেশন অংশীজনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা সমাজে মাদকের ব্যবহার রোধ করতে পারছি না। ফলে স্থানীয় বখাটেরা মাদক গ্রহণ করে মেয়েদের নানা রকম হয়রানি করে। যৌন নির্যাতন সমাজে ডালপালা মেলেছে। আবার পারিবারিক অসচ্ছলতাও নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তাই নারীদের খেলার মাধ্যমে যৌন হয়রানি রোধ করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীল করার কাজ করছে টেরেডেস হোম নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। বেসরকারি এই উন্নয়ন সংস্থা নগরীর মিরপুরে বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় এক হাজার ছেলে-মেয়েকে ফুটবল ও হ্যান্ডবল প্রশিক্ষণসহ ঐতিহ্যবাহী লুডু এবং ক্যারম ও হাডুডুর মতো খেলা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। একইসঙ্গে তারা নিজেদের কর্মসংস্থান অর্জনের জন্য ব্লক, বাটিকসহ নানা প্রকাশ কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের কার্যক্রম নিয়েছে। প্রকল্পটি চলবে আরও এক বছর।
আয়োজকরা বলেন, এক বছরে প্রকল্পটি বেশ সফলতা অর্জন করেছে। স্থানীয়রাও এতে সহযোগিতা করছে। অতিথিরা এই কার্যক্রমে মেয়েদের কেরাতে ও দাবা প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।
তারা বলেন, বিশ্বে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা সুবিধাবঞ্চিত পরিবার থেকে এসেছে। তারা সঠিকভাবে খেলা শিখলে তারাও একদিন স্বনামধন্য ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারবে।
এ ছাড়া স্পিরিট ফাউন্ডেশনের মুকুল দলের আতিক ও পদ্মা দলের লামিয়া খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষার কথা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন