শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নূহ নবীর নৌকার সন্ধান দেবে ৩ হাজার বছরের পুরোনো মানচিত্র!

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

মহাপ্লাবন ও নূহ নবীর নৌকা নিয়ে কাহিনি তিন ধর্মের মানুষের কাছেই খুব পরিচিত। আল্লাহতায়লার নির্দেশে মহাপ্লাবনের আগে বিশাল একটি নৌকা তৈরি করেন নূহ নবী। এরপর সেই নৌকায় বিশ্বাসী মানুষ এবং বিভিন্ন প্রজাতির এক জোড়া করে প্রাণীকে আশ্রয় দেওয়া হয়, যাতে করে তারা মহাপ্লাবনের হাত থেকে বাঁচতে পারে। কিন্তু নূহ নবীর সম্প্রদায় আসলে কোথায় বাস করত? আর তার সেই নৌকাই বা কোথায়?

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া সেই নৌকা নিয়ে এখনও আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু কোথায় আছে নূহ নবীর সেই নৌকার ধ্বংসাবশেষ? তা আজও রহস্যে ঘেরা। ১৯৫৯ সালে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ের ওপরে জাহাজ আকৃতির একটি স্থান সন্ধান পান ক্যাপ্টেন ইলহান দুরুপিনার নামে এক মানচিত্রকর। অনেকেই দাবি করেন, এটাই নূহ নবীর নৌকার ধ্বংসাবশেষ। বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে প্লাবন শেষে ওই অঞ্চলের আরারাত পর্বতেই গিয়ে ঠেকেছিল নূহ নবীর নৌকা।

তবে ভূতত্ত্ববিদরা, ওই স্থানকে নূহ নবীর নৌকার ধ্বংসাবশেষ মানতে রাজি নন। ওই স্থানটি আসলে পাহাড়েরই অস্বাভাবিক এক ধরনের ভাঁজ বলেই বিশ্বাস তাদের। এত দিন ধরে রহস্যঘেরা সেই ইতিহাস নিয়ে এবার নতুন এক দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি তারা বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো মানচিত্রের গোপন রহস্যভেদ করেছেন। ৩ হাজার বছর পুরোনো মাটির ওই মানচিত্র ইমাগো মুন্ডি নামে পরিচিত।

বলা হচ্ছে, এই মানচিত্রই সন্ধান দেবে নূহ নবীর নৌকার। প্রাচীন ব্যাবিলনীয় সভ্যতার এই নিদর্শনের রহস্য শতকের পর শতক প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে অজানা ছিল। ১৮৮২ সালে বর্তমান ইরাকে ওই নিদর্শনটি খুঁজে পাওয়া যায়। মাটির এই ট্যাবলেটটি বর্তমানে ব্রিটিশ জাদুঘরে আছে। ইমাগো মুন্ডিতে একটি গোলাকৃতি বিশ্ব মানচিত্র রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রাচীন ব্যাবিলনে বিশ্ব সৃষ্টির ধারণা ফুটে উঠেছে।

সে সময় পর্যন্ত মানুষ যতখানি বিশ্ব আবিষ্কার করেছিল, তার পুরোটাই ওই মানচিত্রে ছিল বলে মনে করা হয়। মানচিত্রটির এক অংশে মেসোপটেমিয়া সভ্যতারও উল্লেখ রয়েছে। ওই শিল্পকর্মের এক জায়গায় উরারতু নামক এক জায়গার কথা বলা আছে। সেখানে গেলে পারসিকতু-জলযান দেখতে পাওয়া যাবে। ব্যাবিলনের অন্য প্রাচীন ট্যাবলেটেও এই পারসিকতু শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। ধারণা করা হয়, মহাপ্লাবনের সময় ওই নৌকা টিকে ছিল।

গবেষকদের বিশ্বাস বাইবেলে উল্লিখিত আরারাতই হচ্ছে এই উরারতু। মেসোপটেমিয়ার একটি কবিতায় এর উল্লেখ রয়েছে। যেখানে বলা হয়, একটি পরিবার ১৫০ দিনের বন্যার পর এই পর্বতে তাদের নৌকা ভেড়ায়। বন্যা শেষ হওয়ার পর উরারতু পর্বতের চূড়ায় অবস্থান নেয় পরিবারটি। তবে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা একজন আর্থ ক্রিয়েশনিস্ট ড. অ্যান্ড্রু স্নেলিংয়ের মতে, আরারাত পর্বতে নূহ নবীর নৌকা থামার সুযোগই নেই। কারণ মহাপ্লাবনের সময় ওই পর্বতের অস্তিত্বই ছিল না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইল জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

এক শর্তে ইরানে হামলা বন্ধ করবে ইসরায়েল

রাজুর পাশে সেনাবাহিনী, মুগ্ধ তমা মির্জা

ঈদে নীল পোশাকে মিমের মুগ্ধতা

হানাহানির রাজনীতি ফিরে আসুক কখনই চাই না : হান্নান মাসউদ

দেশে দেশে যেভাবে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

গরুর মাংসের ৫টি জনপ্রিয় বিদেশি রেসিপি

রেকর্ড ভাঙলেন অক্ষয়

হঠাৎ ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ায়, কী হচ্ছে সেখানে?

১০

ঈদের দিন স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করলেন স্বামী

১১

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইরানের কড়া প্রতিক্রিয়া

১২

গরুর মাংসের ১০টি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি

১৩

ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরা হলো না বাবা-ছেলের

১৪

এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য অনুপযুক্ত : ফখরুল

১৫

‘স্যার পাঁচ বছর, দালালদের কথা শুনবেন না’

১৬

ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে : ডা. শফিকুর রহমান

১৭

ব্রাজিল দলের কোচিং স্টাফে যোগ দিলেন আনচেলত্তির ছেলে

১৮

ট্রেনেই প্রাণ গেল ভারতীয় ক্রিকেটারের, রেল কর্তৃপক্ষকে দুষলেন সতীর্থরা

১৯

লড়াই করে আদায় করতে হয়েছে গরু কোরবানির অধিকারও

২০
X