ইথিওপিয়ার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চল আমহারায় সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৮৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মাসব্যাপী চলা এ সহিংসতা দমনের জন্য সরকারের জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যেও ওই অঞ্চলটির এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আমহারা জাতিগোষ্ঠীর তরুণ সদস্য।
আমহারাবাসী অধিকাংশের অভিযোগ, সরকার এ অঞ্চলের নিরাপত্তা দুর্বল করার চেষ্টা করছে। যদিও সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু এ হামলার পেছনে এটিই মূল ইন্ধন ছিল।
লড়াইয়ের প্রথমে স্থানীয় বেসামরিক যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীগুলোকে হটিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু পরে তারা ওই অঞ্চলের প্রধান শহরগুলো ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ‘ফেডারেল বাহিনীগুলো নির্দিষ্ট শহরগুলোতে তাদের উপস্থিতি ফের জোরদার করেছে আর ফানো মিলিশিয়ারা গ্রামীণ এলাকাগুলোর দিকে পিছু হটেছে বলে জানা গেছে। আমরা এদের সবাইকে হত্যাকাণ্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অন্যান্য অপব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই চিকিৎসক জানান, গত রোববার (২৭ আগস্ট) ডেব্রে টাবর শহরে এক লড়াইয়ে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন জানান, এক সপ্তাহ আগে ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনী শহরটিতে প্রবেশ করার পর থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত চার ব্যক্তির মরদেহ ও বহু আহতকে দেখেছেন বলে জানান তিনি।
অপর চিকিৎসক জানান, অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে তিনজন বেসামরিক ও চারজন পুলিশ কর্মকর্তা; এরা সবাই সামরিক বাহিনীর সমর্থনে লড়াই করছিলেন।
মন্তব্য করুন