মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এ দফার নিষেধাজ্ঞায় সাতটি আফ্রিকান দেশ চরম বেকায়দায়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভ্রমণ নীতি আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশগুলোর অন্যতম কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। নতুন নীতিতে দেশটির নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে করতে পারবেন না। কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকারি মুখপাত্র থিয়েরি মুঙ্গাল্লা বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সশস্ত্র হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে তাদের দেশ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে। যেখানে হামলাকারীদের ‘ভুলভাবে’ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের নাগরিক মনে করা হয়েছে।
তিনি রাজধানী ব্রাজাভিলে বলেন, স্পষ্টতই কঙ্গো কোনো সন্ত্রাসী দেশ নয়। এখানে কোনো সন্ত্রাসী নেই বা সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যে পরিচিত নয়। তাই আমরা মনে করি এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি এবং আমি বিশ্বাস করি, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক বিভাগ মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে ১২ দেশ ছাড়াও আরও সাতটি দেশকে আংশিক বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত করা হয়। সিয়েরা লিওনের মধ্যে একটি। সেখানকার নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী চেরনর বাহ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হওয়া উদ্বেগগুলো সমাধানে দেশটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অগ্রগতি নিশ্চিত করতে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করব।
এদিকে আফ্রিার দেশ চাদ মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দেশটির রাষ্ট্রপতি ইদ্রিস দেবি এক ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি দেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় চাদকে অন্তর্ভুক্ত করায় পাল্টা ব্যবস্থা নেন ইদ্রিস দেবি।
দেবি বলেন, ‘আমি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছি যে, পারস্পরিকতার নীতি অনুসারে কাজ করে মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করা হোক। চাদের কাছে দেওয়ার মতো (ডোনাল্ড ট্রাম্পকে) কোনো বিমান নেই। কোটি কোটি ডলার নেই। তবে চাদের আছে তার মর্যাদা ও গর্ব।’
মন্তব্য করুন