বিমান হামলায় সুদানে ১৭ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) সমঝোতাকারীরা যখন সুদানে নতুন করে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছিল তখন রাজধানী খার্তুমের বিভিন্ন স্থানে এই হামলা চলল।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য বিভাগ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন শিশু। এছাড়াও বিমান হামলায় ২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবার পশ্চিম খার্তুমের আল লাম্মাব এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত ১৩ জনে নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার দক্ষিণ ওমরডুরানে অজস্র বাসাবাড়িতে বোমা ফেলা হয়েছে। সেখানে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। বেইত আল মাল এলাকার স্থানীয় কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শারক-এল-নিল জেলায় বিমান হামলা চালিয়ে একটি পরিবারকে হত্যা করেছে আরএসএফের সদস্যরা।
বিগত কয়েক মাসে প্রায় এক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন সইতে না পেরে পশ্চিম দার্ফুরের এল-জেনেইনা এলাকায় ২ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ চাদ-এর সীমান্ত দিয়ে দিকে পালিয়ে গেছে।
চলতি সপ্তাহে দেওয়া এক বিবৃতিতে সুদানি সেনাবাহিনী পশ্চিম দার্ফুরের গভর্নর আব্দুল্লাহ আকবরকে অপহরণ ও হত্যার জন্য আরএসএফকে দায়ী করে। সেনাবাহিনী জানায়, আরএসএফ সুদানের মানুষের ওপর কী ধরনের নির্যাতন করেছে তার নতুন অধ্যায় হয়ে থাকবে এই দানবীয় ও নৃশংস ঘটনা।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সুদানে বেসামরিক সরকারের পতন ঘটানো হয়। এর পর দেশ শাসন করছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক সহযোগী ও আরএসএফপ্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলুর মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে গত ১৫ এপ্রিল রাজধানী খারতুমে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে হামলা করে বসে আরএসএফ।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলমান এ লড়াইয়ের কারণে সুদানে ২০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া চার লাখ ৭৬ হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন