নেপাল, ফিলিপাইন, পূর্ব তিমুরের পর এবার জেন-জিদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পূর্ব-আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কার। পানির সংকট ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া তৃতীয় দফার এ বিক্ষোভ থেকে দেশটির সরকারের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী আন্তানানারিভোতে বিক্ষোভকারী তরুণ-তরুণীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ সময় হাজারো বিক্ষোভকারী সড়কে নেমে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানায়।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার কেনিয়া ও এশিয়ার দেশ নেপালের ‘জেন-জি’ আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাদাগাস্কারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছেন দেশটির তরুণ-তরুণীরা। দেশটিতে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে রূপ নিয়ে তরুণদের এ আন্দোলন।
২০২৩ সালে দেশটিতে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। রাজধানীতে বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার থেকে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির বিক্ষোভকারীরা সোমবার রাজধানী আন্তানানারিভোর একটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় দেশটির জাতীয় সংগীত গাইতে দেখা যায় তাদের। পরে শহরের অন্যান্য এলাকায় গিয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীরা সড়কে ইট-পাথর ও টেলিফোনের খুঁটি ব্যবহার করে ব্যারিকেড তৈরি করেন।
মাদাগাস্কারের টেলিশিভন চ্যানেল ২৪২৪ এমজির প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে। এ সময় সড়কের ব্যারিকেডও সরিয়ে ফেলে পুলিশ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান এনটসে, তার সরকার ও প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার পদত্যাগ দাবি করেন। এদিকে, রোববার দেওয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা তার শাসন ব্যবস্থায় কিছু ভুল রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি তা স্বীকার করছি এবং এখন সবকিছু সংস্কারের উপায় খুঁজছি।
মাদাগাস্কারের বিক্ষোভকারীরা নেপালে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেন-জি বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের প্রতীকী পতাকা ব্যবহার করেন। নেপালে জেন-জিদের আন্দোলনের মুখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হোন।
মন্তব্য করুন