কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৮ এএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০২:২৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরাইলকে মিসরের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি

মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। ছবি : সংগৃহীত
মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। ছবি : সংগৃহীত

এবার ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুখ খুলেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ইসরাইলের ওপর বেশ ক্ষেপেছেন তিনি।

স্থল হামলার ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিদের গাজার দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলিরা। গাজার দক্ষিণেই মিসরের সীমান্ত। ফলে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মিসরের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে দাবি করছেন সিসি।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরাইলের উদ্দেশে এক হুঁশিয়ারিতে তিনি বলেন, ‘গাজায় এখন যা ঘটছে তা হলো বেসামরিকদের মিসরে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করার চেষ্টা করা। যা মেনে নেওয়া উচিত নয়।’

ইসরাইলের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি আরও বলেন, ‘মিসরকে অনুরোধ না করে বরং ফিলিস্তিনিদের নিজেদের নেগেভ মরুভূমিতে রাখতে পারে ইসরাইলিরা। বুধবার কায়রোতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজরের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

চলমান সংঘাত নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমি আছে। ফিলিস্তিনিদের নেগেভ মরুভূমিতে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে যতক্ষণ না তারা (ইসরাইল) গাজা উপত্যকার সামরিকদের সঙ্গে যা করতে চায় তা শেষ না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের মিসরে স্থানান্তর করলে ইসরাইল যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। পরবর্তীতে এ পরিণতি মিসরকে বহন করতে হবে। সিনাই তখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযানের একটি ঘাঁটি হবে এবং মিসরকে পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। ইসরাইলের খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ অচল করার অর্থ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সিনাই উপদ্বীপে স্থানান্তর করার একটি উপায়, যা আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করি।’

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে মিসরের সিনাই উপদ্বীপটি ইসরাইল বাহিনী দখল করে নেয়। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে স্থানটি মিসরকে আবার ফেরত দেওয়া হয়।

সূত্র : আলজাজিরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

তাহিরপুরে বালু মহালের জায়গা নির্ধারণ করে দিল প্রশাসন

সমালোচনায় আমার কিছু যায় আসে না : বাঁধন

চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর

সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত : আলী রীয়াজ

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি শিক্ষকদের

পে-কমিশনের সভায় দাবি উত্থাপিত না হওয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের ক্ষোভ

জাল টাকায় ফোন কিনে যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

কোরআন অবমাননা ইস্যুতে হেফাজতের লংমার্চের হুঁশিয়ারি

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন হলো টেকনোর পোভা ফাইভজি সিরিজ

১০

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোর প্রতিনিধিত্ব করছেন ড. সবুর খান

১১

কোরআন অবমাননা, যা বলছেন আজহারি

১২

তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে পদযাত্রা

১৩

ধানমন্ডিতে দরজা ভেঙে মিলল বিএনপি নেতার মরদেহ

১৪

যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের দাবি ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের

১৫

৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি

১৬

উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিযোগিতার আহ্বান সারজিসের

১৭

সিলেটে ১ মাসে সড়কে প্রাণ গেছে ৩৫ জনের

১৮

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য: জামায়াত

১৯

আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মাতমো

২০
X