সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ লাখ টনের বেশি বর্জ্যপানি আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) থেকে সাগরে ছাড়া শুরু করার কথা জানিয়েছে জাপান।
ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো)। ঘরে-বাইরে সমালোচনা সত্ত্বেও দুই বছর আগে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পানি সাগরে ছাড়ার অনুমতি দেয় জাপানি সরকার। এমনকি গত জুলাই মাসে এ বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, নিউক্লিয়ার রেগুলেশন অথরিটির অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিতে টেপকোকে বলা হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২৪ আগস্ট থেকে পানি ছাড়া শুরু হবে।
ফুমিও কিশিদার এ ঘোষণার পর একইদিন আরেক সংবাদ ব্রিফিংয়ে টেপকো জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে প্রথম ব্যাচের পানি সাগরে ছাড়া হবে। প্রথমে ৭ হাজার ৮০০ ঘনমিটার পানি ছাড়া হবে। এ কাজের জন্য সময় লাগবে ১৭ দিন।
এর আগে গত ৪ জুলাই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্যপানি সাগরে ছাড়ার চূড়ান্ত ছাড়পত্র হস্তান্তর করেন আইএইএর প্রধান রাফায়েল ম্যারিয়ানো।
তখন আইএইএ জানিয়েছিল, বর্জ্যপানি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই সাগরে ছাড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছে জাপান। এই তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়লে পরিবেশের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়বে না।
তবে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্যপানি সাগরে ছাড়া নিয়ে বিরোধিতা করে আসছে জাপানের প্রতিবেশী দেশগুলো। এ নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে চীন। এমনকি জাপানের মৎস্যজীবী সমিতিও তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন