থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ফেউ থাই পার্টির প্রার্থী স্রেথা থাভিসিন। এর মাধ্যমে দেশটিতে তিন মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অচলাবস্থার অবসান হলো।
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফেউ থাই পার্টি। কিন্তু নির্বাচনে সামরিক বাহিনীবিরোধী দল জয়ী হলে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। এই সুযোগে বিরোধীদের সঙ্গে জোট করে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে উভয়কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দেশটির ৩০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ধনকুবের স্রেথা থাভিসিন।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য স্রেথা থাভিসিনের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে ৩৭৪ ভোটের প্রয়োজন ছিল। আর সেটি তিনি পেয়ে যান। ১৫০ জনের বেশি সিনেটরের ভোট তিনি লাভ করেন। সামরিক বাহিনীই এসব সিনেট সদস্য নিয়োগ দিয়ে থাকে।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর আজই দেশে ফিরেছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ফেউ থাই পার্টির প্রধান থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এরপরই প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার এবং সেখানে থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। তবে ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। দুর্নীতির দায়ে সাজা এড়াতে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড থেকে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান তিনি। এরপর থেকে তিনি দুবাইয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
এতদিন নির্বাসনে থাকার পরও থাইল্যান্ডের শ্রমিক ও গ্রামের মানুষের মাঝে থাকসিন ও তার ফেউ থাই পার্টি বেশ জনপ্রিয়। এমনকি আজ তার দল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে।
তবে নতুন জোট গঠন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেউ থাই পার্টি। সমর্থকরা বলছেন, জোটে থাকসিনের পুরোনো শত্রুদের নেওয়া হয়েছে। এখন কারাবন্দি থাকসিন যদি দ্রুত রাজকীয় ক্ষমা না পান তাহলে এমন জোট গঠন প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন