কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চীন থেকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

চীনের সঙ্গে সম্প্রতি বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। মাস দেড়েক আগে চীনের অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। এমনকি পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইতালির কাছ থেকেও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এরই মধ্যে এবার চীনের কাছ থেকে ভয়ংকর এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।

ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার বরাতে রোববার (২ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইক এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা খাতের জন্য যত আমদানি করেছে, তার ৭০ শতাংশেরও বেশি এসেছে বেইজিং থেকে। চীনের কাছ থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তির খবরটি বেরোনোর কিছুদিন পরই এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা গ্রহণের খবরটি সামনে এসেছে।

চীনে স্থানীয়ভাবে ডিএফ-১২এ নামে পরিচিত এসওয়াই-৪০০ সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ২০০৮ সালে; ঝুহাই এয়ারশোতে। চীনা পিএলএ ছাড়াও বর্তমানে কাতার ও মিয়ানমার এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করছে। এসওয়াই-৪০০-এর আধুনিক ভার্সনগুলোর পাল্লা প্রায় ২৮০ কিলোমিটার। এর স্ট্যান্ডার্ড কনফিগারেশনে কঠিন জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্রসহ আটটি ক্যানিস্টার রয়েছে। কেনার সময় প্রজেক্টাইলগুলো এই পাত্রে কারখানায় লাগানো হয় এবং অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ছয় মিটার লম্বা এবং শূন্য দশমিক ৪ মিটার ব্যাস-বিশিষ্ট। ওয়ারহেড কনফিগারেশনের ওপর নির্ভর করে এগুলো ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ কেজি পর্যন্ত ভারী হতে পারে। ওয়ারহেড বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ-বিস্ফোরক ফ্র্যাগমেন্টেশন, সাবমিনিশন ডিসপেন্সার এবং ক্লাস্টার পেলোড।

এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলোয় সক্রিয় রাডার বা প্যাসিভ রাডার বা আইআইআর সিকার রয়েছে, যার টার্মিনাল পর্যায়ে লক্ষ্য-শনাক্তকরণ ক্ষমতা রয়েছে।

অসমর্থিত এ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এসএএমের বাধা এড়াতে কিছুটা হলেও টার্মিনাল কৌশল করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ম্যাক ৫ দশমিক ৫ পর্যন্ত গতিতে পৌঁছাতে পারে এবং একটি হাইব্রিড গাইডেন্স স্যুট দিয়ে সজ্জিত, যা ইনর্শিয়াল নেভিগেশন এবং স্যাটেলাইট অগমেন্টেশন বা জিপিএস সিস্টেমের সমন্বয় করে।

প্রতিটি এসওয়াই-৪০০ মাত্র ১০ মিনিটেরও কম সময়ে লঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ছোট রকেট দিয়ে দ্রুত পুনরায় লোড করতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসমান হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

দেড় যুগ পর পুলিশ ক্যাডার হলেন আলোচিত দম্পতি

হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শনিবারের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের শনিবারের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত 

নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মাহসড়ক অবরোধ

সুদানে ফের হামলা, নিহত ১৬

নেকটার চার ক্যাটাগরির নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

আইনজীবী আলিফ হত্যার আসামি সুকান্ত গ্রেপ্তার

১০

বাংলাদেশকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছিল হাদি : মান্না

১১

ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না : আমান

১২

কোনো উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৩

গ্রাহকদের ‘দুঃসংবাদ’ দিল তিতাস গ্যাস

১৪

ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে হাদিকে

১৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থে‌কে পদত্যাগের ঘোষণা যুথির

১৬

জামালপুরে রেলপথ অবরোধ

১৭

অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধে খোলা আকাশের নিচে দুই শতাধিক পরিবার

১৮

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যায় পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ

১৯

এনসিএসএর বিশেষ সেল গঠন

২০
X