কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মায়ের মুক্তি চাইলেন সু চির ছেলে

অং সান সু চির ছেলে কিম অ্যারিস। ছবি : বিবিসি
অং সান সু চির ছেলে কিম অ্যারিস। ছবি : বিবিসি

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচিকে মুক্তি দিতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার ছোট ছেলে কিম অ্যারিস। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিবিসি বার্মাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান। অ্যারিস যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন। সেনাবাহনীর হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর গৃহযুদ্ধ শুরু হয় মিয়নমারে। এতে প্রাণ গেছে হাজার হাজার মানুষের। সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরুতে সু চিকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। পরে গত বছর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে তাকে নির্জন কারাবাস দেওয়া হয়। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় দুই বছর ধরে সু চি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যাচ্ছে না। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে গুঞ্জন রয়েছে, কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করছে। ব্রিটিশ নাগরিক কিম অ্যারিস বিবিসিকে বলেন, সেনাবাহিনী সু চি কিংবা তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। তারা মিয়ানমারের দূতাবাস, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদের কেউই তাকে সাহায্য করতে পারেনি। সু চির ছেলে আরও বলেন, ‘এর আগে আমি সংমাদমাধ্যমে কথা বলা কিংবা অনেক বেশি যুক্ত হতে চাইনি।’ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এটাই তার প্রথমবারের মতো দেওয়া সাক্ষাৎকার। ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর সু চি যখন কারাগারে ছিলেন, সে সময় মায়ের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। কিম অ্যারিস বলেন, ‘রাজনীতি থেকে দূরে থাকাটাই আমার জন্য ভালো ছিল। আমার মা কখনোই চাননি আমি রাজনীতিতে যুক্ত হই। কিন্তু এখন তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য স্পষ্টভাবে সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে না। আমি মনে করি, আমি যা চাই তা বলতে পারি।’ সেনা অভ্যুত্থানের আগে সু চির বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেননি অ্যারিস। বরং তার মায়ের বর্তমান দুর্দশা নিয়েই কথা বলেছেন তিনি। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি প্রায় ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দী থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পান। সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট মিয়ানমারে বন্দী সু চি বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছিলেন। মিয়ানমার ও বিশ্বজুড়ে তার মুক্তি উদযাপন করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে চুপ থেকে তিনি সমালোচিত হন। সেসব নিপীড়িত রোহিঙ্গরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যায় এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়ার পর বহু বছর পর কিম অ্যারিস তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। মাকে দেখে চলে যাওয়ার সময় ইয়াঙ্গুনের বাজার থেকে কেনা একটি কুকুর উপহার দেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খতিবকে কোপানো সেই বিল্লাল বললেন— ভুল করেছি

আসছে কমেডি সিরিজ ‘বিবাহ অতঃপর’

জানাজায় প্রথমবার মুখ খুললেন হুমায়রার বাবা

যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না : তারেক রহমান

শালীর সঙ্গে প্রেম, জামাইয়ের শিরশ্ছেদ করলেন শ্বশুর

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

নারী ‍আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে মহিলা পরিষদের সমাবেশ

খারাপ প্রস্তাব তো এখনো পাই : বাঁধন

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের

বিবেক জাগান

১০

‘যারা অতিরিক্ত বিএনপি বিএনপি করে তারা দোসর ও সুবিধাভোগী’

১১

জবি ছাত্রদলের আরেক নেতার পদত্যাগ

১২

মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজালেন বাবা

১৩

ডেঙ্গু : ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯১

১৪

টালিউডে পা রাখছেন নওশাবা

১৫

মিটফোর্ডের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই : রিজভী

১৬

পুলিশকে কুপিয়ে হাতকড়া নিয়ে পালানো সেই আসামি ফের গ্রেপ্তার

১৭

সৌদি আরবে সম্পত্তি কিনতে পারবেন বিদেশিরা

১৮

ছাত্রদলের ৯ নেতার পদত্যাগ

১৯

বাঙলা কলেজ ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ

২০
X