কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কঠোর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন

যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে প্যারেড অংশ নিয়েছে চীনা সৈন্যরা। ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে প্যারেড অংশ নিয়েছে চীনা সৈন্যরা। ছবি : সংগৃহীত

সেনাবাহিনীকে প্রকৃত যুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনতে কঠোরভাবে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড পরিদর্শনকালে তিনি এই আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া।

শি জিনপিং বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ব অস্থিরতা এবং পরিবর্তনের নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে এবং এ কারণে চীনের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও আগের চেয়ে অনেক বেশি অস্থিতিশীল এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

এ সময় তিনি পিএলএকে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার অগ্রসেনানী বলে উল্লেখ করেন। চীনের সেনাবাহিনী ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টার দেশটির জিয়াংশু প্রদেশে অবস্থিত। ইস্টার্ন কমান্ড চীনের পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে নিয়োজিত। এই কমান্ডের অধীনেই রয়েছে পূর্ব চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালি। চলতি বছরের শুরুর দিকে নজিরবিহীনভাবে তৃতীয় মেয়াদে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষক হিসেবে চীনের সেনাবাহিনীকে প্রকৃত অর্থেই ‘ইস্পাতদৃঢ় মহাপ্রাচীর’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এদিকে, পশ্চিমা আধিপত্য রুখতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে নতুন একটি আইন পাস করল শি জিনপিং প্রশাসন। এতে বেইজিংয়ের স্বার্থ বিরোধী যে কোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গোটা পশ্চিমাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই আগ্রাসী কূটনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে চীন। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ কূটনৈতিক চাল হিসেবে পশ্চিমাবিরোধী নতুন আইন পাসের ঘটনা। বিদেশিদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি আইনটি পাস করে।

এতে বলা হয়, চীনা স্বার্থবিরোধী যে কোনো কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেওয়া চীনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে আইনটি। চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নিলে তাদের ‘স্যাংশন লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারবেন না চীনে। দেশটিতে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মওলানা ভাসানী সেতু সড়কে ‘লাল নিশান’

চবি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে মানববন্ধন

শেবাচিমের লাখ লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী পানির দরে বিক্রি

সৌদি আরবে দ্গ্ধ হয়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

ইসলামী আন্দোলন ছেড়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন মুফতি হাবিবুর রহমান

তসবিহ হাতে খুনিদের ফাঁসি চাইলেন ইমরানের মা

ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

চাঁদার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি

সৌদিতে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধস

কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি দমনে মাঠ ভিত্তিক ক্রীড়া পরিচালনার আহ্বান চসিক মেয়রের

১০

আইইএলটিএসে ৮০ হাজার প্রার্থীর ভুল ফলাফল, বাংলাদেশে প্রশ্নফাঁস

১১

ধান ক্ষেত থেকে ভেসে আসছিল নবজাতকের কান্না

১২

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস / পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

১৩

অভিযানে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট জব্দসহ আটক ১

১৪

রাত ১১টা হলেই বন্ধ থাকে গ্যাস সরবরাহ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

১৫

নিখোঁজের ৩৩ বছর পর বাড়ি ফেরা সেই মোবারক মারা গেছেন

১৬

বরিশালে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ফুয়াদ

১৭

সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

১৮

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা না হলে যে পথে এগোতে চায় জমিয়ত

১৯

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গণদোয়া

২০
X