ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোকরভস্কে কয়েকটি আবাসিক ভবনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৭ আগস্ট) শহরের আবাসিক ভবনে দুটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। প্রথম হামলার পর ইউক্রেনীয় উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করলে দ্বিতীয় হামলা চালায় রাশিয়া।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এ হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা, উদ্ধারকর্মী, শিশুসহ ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।
পোকরভস্ক রাশিয়ার অধিকৃত দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যুদ্ধ শুরুর আগে পোকরভস্ক শহরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রধান পাভলো ক্রিলেঙ্কো বলেন, রাশিয়ার প্রথম হামলায় পাঁচজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। আর দ্বিতীয়বার হামলা চালালে জরুরি পরিষেবার এক এবং একজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন।
আরও পড়ুন : রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের ধাওয়ায় পালাল মার্কিন ড্রোন
তিনি বলেন, রাশিয়ার হামলায় যেসব ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বহুতল ভবন, বেসরকারি বাড়ি, প্রশাসনিক ভবন, ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠান ও হোটেল রয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল অফিসের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক জানিয়েছিলেন, সোমবার সন্ধ্যায় খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার গাইডেট বোমা হামলায় অন্তত দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ওই হামলায় আরও পাঁচজন মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে গত মাসে শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়া সরে যাওয়ার পর কৃষ্ণসাগর ও আশপাশের বন্দরে একের পর এক ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মাঝে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় ইউক্রেন এতদিন কৃষ্ণসাগর দিয়ে বিনা বাধায় শস্য রপ্তানি করে আসছিল। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৭ জুলাই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া।
গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার একটি তেলের ট্যাংকারে নৌ-ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালায় ইউক্রেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এই হামলার সময় রুশ নৌযানে ১১ জন নাবিক ছিলেন। তারা কেউ হতাহত হয়নি। তবে হামলায় নৌযানের ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন