কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন রোধে যুদ্ধবিমান পাঠালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ড্রোন পালিয়ে যায় বলে দাবি করেছে মস্কো। গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ এসইউ-৩০ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রিপার এমকিউ-৯ রুশ সীমান্ত থেকে ইউটার্ন নেয়। ড্রোনটি মার্কিন বিমানবাহিনীর। অভিযান শেষে রুশ যুদ্ধবিমানটি নিরাপদে বিমানঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।’
সম্প্রতি কৃষ্ণ সাগর ও বাল্টিক সাগরে রাশিয়ান ও পশ্চিমা যুদ্ধবিমানের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা বহুগুণ বেড়েছে। গত মার্চে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি নজরদারি ড্রোন বিধ্বস্ত হলে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন : কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার তেলের ট্যাংকারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
এ ছাড়া মে মাসে মস্কো দাবি করে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি পৃথক ঘটনায় বাল্টিক সাগরের আকাশসীমায় তারা চারটি মার্কিন কৌশলগত বোমারু বিমানকে বাধা দিয়েছে। এ ছাড়া ফরাসি, জার্মান, পোলিশ ও ব্রিটিশ বিমানকে বাধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে গত মাসে শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়া সরে যাওয়ার পর কৃষ্ণসাগর ও আশপাশের বন্দরে একের পর এক ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মাঝে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় ইউক্রেন এতদিন কৃষ্ণসাগর দিয়ে বিনা বাধায় শস্য রপ্তানি করে আসছিল। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৭ জুলাই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া।
সবশেষ গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার একটি তেলের ট্যাংকারে নৌ-ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালায় ইউক্রেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এই হামলার সময় রুশ নৌযানে ১১ জন নাবিক ছিলেন। তারা কেউ হতাহত হয়নি। তবে হামলায় নৌযানের ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন