ইতালির উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জাহাজ ডুবে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাহাজটিতে তিন শিশুসহ মোট ৪৫ জন আরোহী ছিলেন। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ লাম্পেদুসার উপকূলে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
জাহাজডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া চার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আইভরি কোস্ট ও গিনির অধিবাসী। এদের তিনজন পুরুষ ও একজন নারী আছেন। বুধবার (৯ আগস্ট) তারা লাম্পেদুসায় পৌঁছান।
এর আগে তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী স্যাফাক্স থেকে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তারা। কিন্তু যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাহাজটি ডুবে যায়।
এরপর একটি মালবাহী জাহাজ তাদের উদ্ধার করে ইতালির কোস্টগার্ডের জাহাজে তুলে দেয়।
বেঁচে ফেরা ওই চার ব্যক্তি উদ্ধারকর্মীদের জানিয়েছেন, তারা একটি ছোট জাহাজে করে তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী স্যাফাক্স থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন, পথে তাদের বহনকারী জাহাজটি ডুবে যায়। যে জাহাজটিতে তারা উঠেছিলেন তাতে তিন শিশুসহ মোট ৪৫ জন আরোহী ছিল।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনের আবাসিক ভবনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৭
এদিকে, ইতালির কোস্টগার্ড গত রোববার ওই এলাকায় দুটি জাহাজডুবির কথা জানিয়েছিল। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জাহাজটিও সেগুলোর একটি কিনা, তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
স্যাফাক্স থেকে লাম্পেদুসা সাগরপথে দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। উন্নত জীবন ও নিরাপত্তার জন্য ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী লোকজনের জন্য এই বন্দরনগরীটি একটি জনপ্রিয় বহির্গমন পথ হয়ে উঠেছে। চলতি বছর উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে এ পর্যন্ত ১৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি ইতালির কোস্টগার্ডের টহল বোটগুলো ও বিভিন্ন ত্রাণগোষ্ঠী লাম্পেদুসার কাছে হাজির হওয়া প্রায় ২০০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।
মন্তব্য করুন