ইসরায়েলের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এবং বাজায়েল স্মোরিচের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব লন্ডনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেন গাভির বর্তমানে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়কমন্ত্রী এবং বাজায়েল স্মোরিচ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। উভয়েই চরমপন্থি ও মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাবের জন্য আন্তর্জাতিক পরিসরে সমালোচিত।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাজ্যে তাদের যেকোনো সম্পদ জব্দ করা হবে এবং ব্রিটেনে প্রবেশাধিকার বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরকারি প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
এর আগে গত মে মাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি, পশ্চিমতীরের উগ্র সেটেলারদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর সামরিক অভিযান চালানোর প্রতিবাদেই এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে ডেভিড লামি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু গাজার জনগণকে এক কোণায় ঠেলে দিচ্ছেন এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছেন না।
অপরদিকে, অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ সম্পর্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্মোরিচ গাজাকে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছেন, এমনকি ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তরের কথাও বলেছেন। তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর মাধ্যমে গাজা ‘পরিষ্কার’ করার কথা বলেছেন। আমি স্পষ্ট করে বলছি- এটি চরম উগ্রপন্থা, এটি বিপজ্জনক, এটি ভয়ংকর। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জবাবদিহির চাপ তৈরি করবে।
মন্তব্য করুন