ইউক্রেনের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ৮৫টি আক্রমণাত্মক ড্রোন এবং একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। গত রাতে এসব হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
শনিবার (১৬ আগস্ট) টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বিমানবাহিনী জানিয়েছে, সুমি, ডোনেটস্ক, চেরনিহিভ এবং ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের সম্মুখভাগের অঞ্চলগুলোকে রাতের হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তারা জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো ৬১টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ তাদের প্রতিদিনের সকালের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত দিনে সম্মুখভাগে ১৩৯টি সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আরআইএ সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাতারাতি বিভিন্ন রাশিয়ান অঞ্চলে ২৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন আটক করে ধ্বংস করেছে। যার মধ্যে ১০টি রোস্তভ অঞ্চলে ভূপাতিত করা হয়েছে। যে কোনো বহিঃআক্রমণ প্রতিহতে তারা তৎপর বলে জানানো হয়।
রয়টার্সের বরাতে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এসব খবর জানায়। হামলাগুলো যখন ঘটছে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠক করছেন। তবে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠক থেকে কোনো যুদ্ধবিরতি বা চুক্তি হয়নি।
বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, বৈঠক থেকে কিছু বিষয়ে ‘ব্যাপক অগ্রগতি’ হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত জানাতে অনিচ্ছুক। তিনি স্বীকার করেন, ইউক্রেনে চূড়ান্ত সমঝোতায় তারা পৌঁছাতে পারেননি। আর পুতিন আলাস্কা ছেড়ে যাওয়ার সময় পরবর্তী আলোচনা মস্কোতে হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট সময় বা চুক্তি জানাননি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কোনো চুক্তি না করার ফলে ইউরোপীয় মিত্র ও কিয়েভ আপাতত স্বস্তি পেয়েছে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে মতপার্থক্য আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। পুতিন আবারও যুদ্ধের মূল কারণগুলো তুলে ধরেছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী, ন্যাটো ও রাশিয়ান ভাষাভাষীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া ক্রিমিয়া ও দখলকৃত অন্যান্য এলাকা ছাড়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি।
মন্তব্য করুন