কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৩, ১০:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মস্কোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে ওয়াগনার বাহিনী

রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহর দখলে নিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহর দখলে নিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রোস্তভ-অন-দন দখলের পর রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে ওয়াগনার বাহিনী। এরই মধ্যে মস্কো অভিমুখী পথের অর্ধেকের বেশি অতিক্রম করে ফেলেছে তারা। রুশ সেনারা তাদের গতিরোধ করতে চাইলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে, ওয়াগনারের সেনাবহর ও ট্যাঙ্কবাহী একটি ট্রাক ভোরোনেজ শহর অতিক্রম করেছে। রোস্তভ-অন-দন শহর ও মস্কোর মাঝে দূরত্ব এক হাজার ১০০ কিলোমিটার। এই শহর দুটির মাঝামাঝি ভোরোনেজের অবস্থান। এ শহরেই ওয়াগনারের সেনাবহর লক্ষ্য করে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তবে এ সময় ওয়াগনার যোদ্ধারা বড় ধরনের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে, এমন কোনো খবর আসেনি।

এদিকে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ওয়াগনারের অগ্রসরের খবরে মস্কোর দক্ষিণ উপকণ্ঠে মেশিনগান স্থাপন করে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া বাসিন্দাদের ঘরে থাকার আহ্বান করেছে লিপেটস্ক নগর কর্তৃপক্ষ।

গতকাল শুক্রবার এক অডিও বার্তায় রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর নেতাদের ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার হুমকি দেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তিনি বলেন, ‘তারা (রুশ বাহিনী) আমাদের বিভিন্ন সেনাশিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় আমাদের অনেক সহযোদ্ধা মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মস্কো অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বাহিনীর ২৫ হাজার সদস্য এ অভিযানে যোগ দিয়েছে। যদি কেউ আমাদের প্রতিরোধ করতে চায়, সে ক্ষেত্রে আমরা সেটা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করব এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা ধ্বংস করব।’

প্রিগোজিনের এ ঘোষণার পর রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় ওয়াগনার গ্রুপ।

ওয়াগনার প্রধানের এ বিদ্রোহের পর পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১২০ চিকিৎসক

ছেলেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই চলে গেলেন গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার বাবা

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

‘এনসিপি সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

শিক্ষক সমাজই হচ্ছে একটি জাতির ভিত্তি : মান্নান

কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

১০

কড়াইলের দুর্গতদের পাশে আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত

১১

স্টার্কের দাপটে ব্রিসবেনে হারের পথে ইংল্যান্ড

১২

নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত

১৩

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

১৫

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

১৬

বাংলাদেশে আর কারও দাদাগিরি চলবে না : ডা. শফিকুর রহমান

১৭

যেভাবে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

১৮

আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদ

১৯

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

২০
X