ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিঃশর্ত সমর্থন পেলেও হঠাৎ বেঁকে বসতে শুরু করেছে পুরোনো অনেক মিত্র। বলা হচ্ছে আসন্ন শীতে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সহায়তা না পেলে যুদ্ধে হারতে পারে কিয়েভ। এর মধ্যেই জেলেনস্কি বাহিনীর জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা আটকে দিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হাঙ্গেরি। অথচ এমন ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও ইউরোপীয় জোটটি থেকে একটি সুসংবাদ পেয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য প্রস্তাবিত ৫ হাজার কোটি ইউরোর একটি সহায়তা বিল পাসে ভেটো দিয়েছে হাঙ্গেরি। বৈঠকের পর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান জানান, নাইটশিফ্টের সার-সংক্ষেপ হলো ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ছাড়ে তার দেশের কোনো সমর্থন নেই। অরবান ইউরোপে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের অন্যতম মিত্র হিসেবে পরিচিত।
হাঙ্গেরির এমন পদক্ষেপের পর ইইউর অন্য নেতারা বলছেন, আগামী বছরের শুরুতে ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি আবারও আলোচনা করা হবে। ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে জানান, ইউরোপের হাতে এখনো কিছু সময় আছে। ইউক্রেনের কাছে এখনো যে অর্থ রয়েছে তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহে সংকটে পড়বে না কিয়েভ। ইইউর এই নেতা জানান, জোটের ২৬টি দেশ ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য একমত হয়েছে। তবে ভিক্টর অরবান সম্মতি প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে এ আলোচনা আবারও শুরু হতে পারে।
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ জানান, ইউরোপকে রক্ষা করতে হলে পশ্চিমাদের অবশ্যই ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে। পুতিন যদি ইউক্রেনে বিজয় অর্জন করে তবে এ আগ্রাসন এখানেই থেমে থাকবে না। কিয়েভকে সহায়তা করা কোনো দাতব্য কাজ নয় বরং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগ।
এদিকে ইউক্রেন ও মলদোভাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ দেওয়ার জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন জোটের নেতারা। এ ছাড়া জর্জিয়াকে সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারেও একমত হয়েছে ইইউ। তবে এ আলোচনায় অংশ নেননি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ইউক্রেনের সদস্যপদ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেটো না দিয়ে আলোচনাস্থল ত্যাগ করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। যদিও ইইউ জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছেন তিনি।
মন্তব্য করুন