বেশ কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনির মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে। তাদের এই দ্বন্দ্বের মাঝে সম্প্রতি নতুন মাত্রা যোগ হয়। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত দেশটির রাজধানীর বাতাসে খবর ছড়িয়ে পড়ে সেনাপ্রধান জালুঝনিকে সরিয়ে দিচ্ছেন জেলেনস্কি। এমন গুঞ্জনের মাঝেই আবার নতুন তথ্য দিলেন জেলেনস্কি। শুধু সেনাপ্রধান নয়, দেশের পুরো নেতৃত্বে বড় ধরনের রদবদল আনার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
রোববার ইতালির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আরএআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, যখন আমি কোনো পরিবর্তনের কথা বলি, তখন আমার মনে এমন কিছু গুরুতর বিষয় থাকে যা কোনো এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নয়। বরং তা দেশের পুরো নেতৃত্বকে নিয়ে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে কারা নেতৃত্ব দেবেন, এটা দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। একটা পরিবর্তন দরকার। আমি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে রদবদলের কথা বলছি। তবে এটা শুধু সামরিক ক্ষেত্রেই নয়।
গত বছর রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনারা। তবে এই হামলায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি জেলেনস্কি বাহিনী। এ নিয়ে মতবিরোধের মাঝেই নভেম্বরে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিস্টে লেখা এক নিবন্ধে জেনারেল জালুঝনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অচলাবস্থায় চলে গেছে। তার এমন মন্তব্যের জেরে জেলেনস্কির সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়ে। এ ছাড়া সেনা নিয়োগ নিয়েও দুজনের মাঝে যথেষ্ট বিবাদ রয়েছে। এমন পরিস্থিতির সিএনএন জানায়, গত সপ্তাহে জালুঝনিকে ডেকে সেনাপ্রধান থেকে বরখাস্তের কথা জানিয়ে দেন জেলেনস্কি। সেনাপ্রধান থেকে সরালেও তাকে রাষ্ট্রদূতের মতো পদে চাকরির প্রস্তাব দেন তিনি। তবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন জালুঝনি।
অবশ্য এত কিছুর পরও জালুঝনি ইউক্রেনের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। এমনকি জনমত জরিপে জেলেনস্কির চেয়েও এগিয়ে তিনি। গত ডিসেম্বরে কিয়েভ ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজির প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৮৮ শতাংশ ইউক্রেনীয় নাগরিক জালুঝনিকে পছন্দ করেন। অন্যদিকে জেলেনস্কিকে সমর্থন করেন মাত্র ৬২ শতাংশ মানুষ।
মন্তব্য করুন