ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এখন সবাই ক্লান্ত। এর সমাপ্তি কীভাবে ঘটবে, তা যেন জানা নেই কারও। তবে কয়েকদিন আগেই যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন কিছু শর্তও। এবার পুতিনকে পাল্টা আল্টিমেটাম দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৈশ্বিক একটি শান্তি সম্মেলনের মঞ্চে নিজের এমন রূপ দেখালেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ওই সম্মেলন বয়কট করেছে। সম্মেলনের শেষ দিন জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের অঞ্চল থেকে মস্কো তার সেনা সরিয়ে নিলে আগামীকালই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছে ইউক্রেন। তবে পুতিন যুদ্ধ থামাবেন না বলে মনে করেন জেলেনস্কি।
যুদ্ধ চালিয়ে নিতে এবং জয়ী হতে পশ্চিমা সাহায্যের বিকল্প নেই কিয়েভের। আর সেটা খুব ভালোভাবেই জানেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, যুদ্ধে জয়ী হতে পশ্চিমা সাহায্য যথেষ্ট নয়। তবে এই সামিট দেখিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সমর্থন এতটুকু কমেনি। যুদ্ধের কারণে যে ব্যাপক দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পুরো দায় রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে সম্মেলনে একটি নথি প্রস্তুত করা হয়।
সম্মেলনে যোগ দিলেও ওই নথিতে স্বাক্ষর করেনি ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সৌদি আরব। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এই শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ৯০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সম্মেলনে যোগ দেয়। তবে রাশিয়াকে সম্মেলনের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। আর রাশিয়ার ‘মিত্র’ চীন এই সম্মেলনে যোগ দেয়নি।
সম্মেলনে যোগ দেওয়া সব দেশই যে ইউক্রেনের বন্ধু এটা বলার সুযোগ নেই। ইউক্রেনকে কঠিন কিছু সমঝোতা করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান বিন ফয়সাল। ইউক্রেনের কিছু বন্দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য মধ্যস্থতা করেছিল সৌদি আরব। তাই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ফেলে দেওয়ার মতো নয়। আবার কেনিয়া রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে ইউক্রেন। হঠাৎ করে ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় রাশিয়া। এর কয়েক সপ্তাহ পর এই শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের এমন মাত খাওয়ার কারণেই কী দেশটি এখন কূটনৈতিক পথ বেছে নিয়েছে কি না, জেলেনস্কি এমন প্রশ্নও করা হয়। যদিও জেলেনস্কি জানান, শান্তি আলোচনার জন্য ইউক্রেন সব সময় প্রস্তুত ছিল।
মন্তব্য করুন