কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারতের এই ভয়ংকর অস্ত্র মিনিটেই শেষ করে দিতে পারে শত্রুদের

ভারতের  টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক। ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পস সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এক মাসব্যাপী টি-৯০ ট্যাংকসহ লাইভ ফায়ারিং মহড়া সফলভাবে শেষ করেছে। মহড়াটি সিকিম ও শিলিগুড়ি করিডোরের সুরক্ষা নিশ্চিত ও যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষ্যে করা হয়।

মহড়ায় সেনারা টি-৯০ ট্যাংকের পাশাপাশি মর্টার, ফায়ার আর্মস ও ড্রোন ব্যবহার করে লক্ষ্য শনাক্ত ও নজরদারি করেন। টি-৯০ ট্যাংক, ভারতের অন্যতম আধুনিক প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক। ভারতের কাছে কিছু ভয়ংকর অস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এই টি-৯০ ট্যাংক, যা শত্রুদের কয়েক মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।

টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংকের ওজন সাধারনত ৪৬ দশমিক ৫ টন হয়ে থাকে। এটির দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৫৩ মিটার, উচ্চতা ২ দশমিক ৮৬ মিটার এবং প্রস্থ ৩ দশমিক ৭৮ মিটার পর্যন্ত হয়। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে ক্রু সদস্য থাকে ৩ জন। এটি দেশটির প্রধান যুদ্ধ ট্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম। উন্নত ফায়ার কন্ট্রোল, উচ্চ গতি, উন্নত সুরক্ষা এবং থার্মাল ইমেজিং প্রযুক্তির কারণে রাতে ও প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও কার্যকরী টি-৯০ ট্যাংক।

বর্তমানে ভারতের ব্যবহার করা টি-৯০ ট্যাংক রাশিয়ার টি-সিরিজের ভার্সন। প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তির আওতায়, এই ট্যাংকগুলো ভারতে তামিলনাড়ুর হেভি ভেহিকল্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি হচ্ছে এবং 'ভীষ্ম' নামে পরিচিত। এই ট্যাংকে স্ব-সুরক্ষা ব্যবস্থা, ফ্রান্সের থ্যালেস ও বেলারুশের পেলেংয়ের ক্যাথরিন থার্মাল ইমেজার লাগানো হয়েছে, যা শত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে ট্যাংককে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লাদাখ, সিকিম ও অরুণাচলের ঠান্ডা ও কঠিন আবহাওয়ার জন্য টি-৯০ ট্যাংক বিশেষভাবে উপযোগী। এতে ব্যবহৃত বিশেষ জ্বালানি সাব-জিরো তাপমাত্রায় জমে না, ফলে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও ট্যাংক কাজ করতে পারে। ২০০১ সালে রাশিয়া থেকে প্রথমবার ৩১০টি টি-৯০ ট্যাংক কেনার পর, এর মধ্যে ১২৪টি পূর্ণ প্রস্তুত এবং বাকি ১৮৬টি ভারতে তৈরি হয়েছে। আগে ভারত টি-৭২ ট্যাংক ব্যবহার করত, তবে পাকিস্তান টি-৮০ ট্যাংক ব্যবহার করায় ভারতের উন্নতমানের ট্যাংকের প্রয়োজন দেখা দেয়।

২০০৪ সালে ভারতে নির্মিত টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংকের প্রথম ব্যাচ নিয়ে চালু হয় এবং তারপর থেকে নিয়মিত উৎপাদন হচ্ছে। এই ট্যাংকের অনেকবার আধুনিকীকরণ হয়েছে, যাতে এর শক্তি, অস্ত্রক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো যায়। এতে অত্যাধুনিক থার্মাল ইমেজিং, ইনফ্রা ক্যামেরা ও ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রোধক ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংককে বিশ্বের অন্যতম সেরা যুদ্ধ ট্যাংক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে গ্রামে বসবাস করলেই মিলবে ২৭ লাখ টাকা!

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

১০

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

১১

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১২

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১৩

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১৪

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১৫

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১৬

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

১৭

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

১৮

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

১৯

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

২০
X