একজন বা দুজন নয়, অর্ধশত পুরুষকে যৌনতার ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিওকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করেন। সম্প্রতি এমনই অভিযোগে ভারতের মুম্বাইয়ের এক মডেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই মডেলের নাম নেহা ওরফে মেহর। তার ফাঁদে পা দেওয়া পুরুষদের ভয় দেখিয়ে টাকা লুট করতেন তিনি।
পুলিশের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, নেহা শহরের পুরুষদের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডাকতেন। এরপর তারা বাড়িতে গেলে তার সঙ্গে ওই পুরুষদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও গোপনে ক্যামেরাবন্দি করতেন তিনি। এমনকি মাঝে মাঝে তাদের মারধরও করা হতো। পরে এসব ভিডিও ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন নেহা।
পুলিশ বলছে, এই অপরাধের সঙ্গে শুধু নেহা একা জড়িত না। তারা একটি প্রতারণা চক্র পরিচালনা করতেন। এই চক্রে অনেকে ছিলেন।
নেহার হাতে প্রতারিতদের একজন সম্প্রতি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই এটি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে, ওই যুবক ছাড়াও আরও অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন নেহা। তাদের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা লুট করেছেন।
অভিযোগকারী যুবক জানান, টেলিগ্রামে নেহার সঙ্গে তার পরিচয়। সেখান থেকে তারা হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তা শুরু করলে নেহা বিভিন্নভাবে তাকে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর ইঙ্গিত দেন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে নিজের ছবি ও ঠিকানাও পাঠান নেহা।
তিনি আরও জানান, নেহার কথামতো গত ৩ মার্চ বিকেলে তার বাড়িতে যান তিনি। বাড়িতে প্রবেশের পরপরই তিনজন যুবক সেখানে আসেন এবং তাকে মারধর করেন।
ওই যুবক অভিযোগ করে বলেন, মারধরের পর তাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানোর হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় তাকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। প্রথমে সাড়ে ২১ হাজার টাকা পাঠালেও তাকে ছাড়েননি নেহারা। এরপর একপর্যায়ে ক্রেডিট কার্ড আনার কথা বলে তাদের হাত থেকে মুক্তি পান তিনি।
ওই যুবকের এমন অভিযোগের পর এখন পর্যন্ত নেহাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান বলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন