ভারত ও পাকিস্তান উপকূলে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের আঘাত হানার আশঙ্কা ছিল। তবে বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার।
গুজরাটের ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পান্ডের বরাত দিয়ে ভারতের সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কমলেও এখনো সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন।
এদিকে ভারত এরই মধ্যে গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় এক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অরেঞ্জ ও ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের মাত্রাও বাড়তে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কুচ, দেবভূমি দ্বারকা ও জামনগর জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ক্ষয়ক্ষতি রোধে ব্যাপক প্রস্তুতি
আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের (এনডিআরএফ) ১৮টি টিম, এসডিআরএফের ১২টি টিম, স্টেট রোড অ্যান্ড বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের ১১৫টি এবং স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিপার্টমেন্টের ৩৯৭টি টিম উপকূলীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) ৭৬টি ট্রেনযাত্রা বাতিল করা হয়েছে। গুজরাটে দুটি বিখ্যাত মন্দিরে কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধারকাজ পরিচালনা নিয়ে পৃথক পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, দেশটির উপকূলীয় এলাকা থেকে কমপক্ষে ৮২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন