ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাত ৮টায় তিনি এ ভাষণ দেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও পাকিস্তানের ধারাবাহিক হামলার প্রেক্ষিতে এ ভাষণে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘোষণা পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এরপরও কাশ্মীরে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। এরপর আজ রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষন দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, শনিবার ভারত এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও)-এর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।
শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ সময় সন্ধা ০৬টায় প্রথম যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্ম ট্রুথ স্যোশালে শেয়ার করা এক পোস্টে জানান— যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়ার জন্য উভয় দেশকে আমি অভিনন্দন জানাই। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ!’
পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং উভয় দেশ ‘নিরপেক্ষ একটি স্থান‘ আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে রুবিও বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে তিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শাহবাজ শরীফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর, সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, অসীম মালিকসহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সাথে’ আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শরীফের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং রাষ্ট্রনায়কত্বের জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি।’
মন্তব্য করুন