আমেরিকার এক প্রতিবেদনে কুপোকাত ভারত। দেশটিতে মার্কিন এক রিপোর্টের কারণে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। এর প্রভাব পড়েছে আদানির শেয়ারেও।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস দেখা দিয়েছে। মার্কিন বন্ডের উচ্চ রিটার্ন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যাওয়ায় আর্থিক ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শেয়ারে বড় পতন হয়েছে। এর পাশাপাশি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের পরআদানি গ্রুপের শেয়ারে তীব্র পতন দেখা গেছে। প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ইরান থেকে এলপিজি আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সেনসেক্স সূচক ০.৭৮ শতাংশ কমে ৮০,৭৩৭.৫১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এছাড়া নিফটি ৫০ সূচক ০.৭০ শতাংশ কমে গিয়ে ২৪,৫৪২.৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের ১৩টি প্রধান খাতের মধ্যে ১২টিতেই পতন লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে ভারী ওজনের আর্থিক খাত ও বেসরকারি ব্যাংকিং খাত যথাক্রমে ০.৭ শতাংশ ও ১.২ শতাংশ হারিয়েছে। আইটি খাতও ০.৭ শতাংশ পতনের মুখে পড়েছে।
আশিকা গ্লোবাল ফ্যামিলি অফিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা অমিত জৈন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডে এখন যে পরিমাণ ঝুঁকিমুক্ত মুনাফা মিলছে, তা বিবেচনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতসহ উদীয়মান অর্থনীতিতে বিনিয়োগের অনুপ্রেরণা কমে গেছে। তার ওপর বৈশ্বিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যায়ন বেশ চড়া। সেইসঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উদ্বেগ এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা রয়েছে। এসব কারণে আগামী মাসগুলোতে বাজারে সময়ভিত্তিক সংশোধন দেখা যেতে পারে।
আদানি গ্রুপ ইতিপূর্বেও নানা অভিযোগ ও তদন্তে জর্জরিত ছিল। নতুন এই যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের খবরে আবারও তাদের শেয়ারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। গোষ্ঠীটি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন এবং দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা মার্কিন কর্তৃপক্ষের কোনো তদন্ত সম্পর্কে অবগত নয়।
মন্তব্য করুন