দাবি-দাওয়া নিয়ে মন্ত্রীর কাছে গেছেন। মন্ত্রীও তাদের দাবি কী, তা জানতে চিঠি পড়ছেন। এমন সময় অদ্ভুত এক কাণ্ড করে বসলেন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি। পকেট থেকে হলুদের গুঁড়া বের করে ছিটিয়ে দিলেন মন্ত্রীর মাথায়। অবশ্য পরে জানা গেল সরকারের নজরে আসতেই এমন কাণ্ড করেছেন তিনি।
এ ঘটনটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের সোলাপুর জেলার সরকারি রেস্ট হাউসে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাখাল সম্প্রদায়ের দাবি-দাওয়া নিয়ে দুজন মহারাষ্ট্রের রাজস্বমন্ত্রী রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিলের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তাদের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে পড়ছিলেন মন্ত্রী। এ সময় তার পাশেই ছিলেন ওই ব্যক্তিরা। একপর্যায়ে তাদের একজন পকেট থেকে হলুদের গুঁড়া বের করে মন্ত্রীর মাথায় ছিটিয়ে দিয়েছেন। এরপর রাধাকৃষ্ণের সহযোগীরা ওই ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি মারতে থাকলেও তিনি মারাঠি ভাষায় তার সম্প্রদায়ের দাবির কথা চিৎকার করে বলছিলেন।
পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম শেখর বাঙ্গাল। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, রাখাল সম্প্রদায়ের সমস্যার ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তিনি এমন কাজ করেছেন। ভারতীয় তফসিলি উপজাতির আওতায় তার সম্প্রদায়ের দাবির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এমনকি দ্রুত তাদের দাবি পূরণ না হলে মুখ্যমন্ত্রী বা অন্যান্য রাজ্যমন্ত্রীদের দিকেও কালো কালি ছুঁড়ে মারার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
অবশ্য মন্ত্রী রাধাকৃষ্ণও হলুদ গুঁড়া ছিটিয়ে দেওয়া বিষয়টি সহজভাবে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, এটি কোনো অপরাধ নয়। হলুদ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। এটি পবিত্র বলেই বিবেচিত। এমনকি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তাহলে ওই ব্যক্তিকে কেন মারধর করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে রাধাকৃষ্ণ বলেন, ওই মুহূর্তে ঠিক কী ঘটছে তা কেউ বুঝতে পারেনি। তাই এমনটা হয়েছে।
মন্তব্য করুন