কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত

‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’-এ নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’-এ নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের নিরাপত্তা মহল পাঁচ প্রতিবেশী দেশকে সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভুটান ও মিয়ানমার ছাড়া বাকি পাঁচ দেশ—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক মনে করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সদর দপ্তরে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এবারের প্রতিপাদ্য—‘ইয়ার অব রিফর্মস : ট্রান্সফরমিং ফর দ্য ফিউচার।’ এখানে ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে সামগ্রিক প্রতিরক্ষা কৌশল নির্ধারণ করছে।

কেন বাংলাদেশকে হুমকি ভাবছে ভারত?

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর উগ্রপন্থি তৎপরতা বেড়েছে। এ ছাড়া ভারতবিরোধী বক্তব্য ও কার্যকলাপও দৃশ্যমান হচ্ছে, যা ভারতের জন্য সরাসরি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।

এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী জেলার জনসংখ্যার গঠন বদলে যাচ্ছে। এর প্রভাব ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ওপর পড়ছে এবং সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে।

পাকিস্তান ও নেপাল নিয়েও উদ্বেগ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান এখনো জঙ্গি অর্থায়নের মাধ্যমে ভারতের জন্য বড় হুমকি হয়ে আছে। অন্যদিকে নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে। নেপালে ভারতবিরোধী মনোভাবও বাড়ছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পথে বাধা।

সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চীন

ভারত সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত চীনকে ঘিরে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আক্রমণাত্মক ভূমিকাকে সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। লাদাখ, অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলা অচলাবস্থা নিয়ে ভারতের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব বিস্তারিত আলোচনা করেছে। তাদের মতে, সীমান্তে চীনের উপস্থিতি ভারতের জন্য পরোক্ষ হলেও বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছে।

সম্মেলনের মূল লক্ষ্য কী?

নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা, পাকিস্তান ও চীনের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া এবং একই সঙ্গে নেপাল, বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের উদীয়মান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা।

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এখন শুধু যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, বরং শান্তিকালীন সময়েও সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় কার্যকর কাঠামো, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে এ সম্মেলনের বড় অর্জন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ১৭ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতার ঘরে অগ্নিসংযোগ / হাসপাতালে কাতরাচ্ছে দগ্ধ বাবাসহ দুই বোন, হয়নি মামলা

উঠানে বাবার মরদেহ, সম্পত্তির দাবিতে দাফন কাজে সন্তানদের বাধা

দিল্লির বিবৃতি প্রত্যাখ্যান ঢাকার

ই-রিটার্ন ব্যবস্থায় যুক্ত হবে ব্যাংকিং তথ্য : এনবিআর চেয়ারম্যান

নীরবে মদের বিক্রি বাড়াচ্ছে সৌদি আরব

ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ

বিএনপিকে যে পরামর্শ দিলেন গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা

জকসু নির্বাচনে অনিক দাসকে বয়কটের ঘোষণা

ঋণের নামে লুট, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক যেন এস আলমের ‘এটিএম’ মেশিন

১০

রায় ঘোষণার পর নতুন বার্তা ইমরান খানের

১১

প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১২

বিএনপির সাবেক এমপি কারাগারে

১৩

ভারত সফরে অবিশ্বাস্য আয় মেসির, জানা গেল কত পেলেন

১৪

মেসির ভারত সফর ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন আয়োজক

১৫

মেডিকেলে চান্স পেলেন মাসুমা, দুশ্চিন্তায় বাবা-মা

১৬

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ নিয়ে যা বললেন জয়সওয়াল

১৭

মালদ্বীপে মুগ্ধতায় মিম 

১৮

খালি পেটে তুলসী পানির কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৯

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

২০
X