

সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে পা রাখতেই বদলে গেল চিরচেনা দৃশ্যপট। যে আতিথেয়তা ছিল নিয়মিত চিত্র, সেখানে এখন ঠাঁই পাওয়াই দায়। হঠাৎ করেই যেন এক অদৃশ্য দেয়াল উঠে দাঁড়িয়েছে দুই দেশের বন্ধুত্বের মাঝে। প্রতিবেশী দেশের পর্যটক, শিক্ষার্থী কিংবা মুমূর্ষু রোগী— কারও জন্যই আর খুলছে না আতিথেয়তার দরজা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে এখন এমনই এক গুমোট পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারত বিরোধিতা ও বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার অজুহাতে শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
বৃহত্তর শিলিগুড়ি হোটেল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আর কোনো বাংলাদেশিকে হোটেল ভাড়া দেবেন না। সংগঠনটির জয়েন্ট সেক্রেটারি উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই তারা বাংলাদেশি পর্যটকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছিলেন।
তবে এতদিন মানবিক কারণে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসার জন্য আসা ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের আওতাভুক্ত ১৮০টি হোটেলসহ মোট ২৩০টি হোটেলে এই কঠোর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে।
প্রতিবছর শিলিগুড়ি হয়ে নেপাল-ভুটান ভ্রমণ কিংবা উন্নত চিকিৎসার জন্য হাজারো বাংলাদেশি এই শহরে যান। কিন্তু হঠাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে ব্যবসায়ীদের এমন সিদ্ধান্তে দুই দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে...
মন্তব্য করুন