আব্দুর রশিদ, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই ভরসা ১০ গ্রামের মানুষের

কুলিক নদের ওপর নির্মিত ৫০ মিটারের বাঁশের সাঁকো। ছবি : কালবেলা
কুলিক নদের ওপর নির্মিত ৫০ মিটারের বাঁশের সাঁকো। ছবি : কালবেলা

কুলিক নদ। ওই নদের ওপর ৫০ মিটারের বাঁশের সাঁকো। সাঁকোটিও পুনোনো ও নড়বড়ে হওয়ায় বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এই সাঁকো দিয়েই পার হচ্ছেন স্কুলে ছোট ছোট শিশুসহ বিভিন্ন মানুষজন। পার হচ্ছে ভ্যান, সাইকেল এমনকি মোটরসাইকেলও। হরিপুর উপজেলার দিলগাও গ্রামে সরেজমিনে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।

স্থানীয়রা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হন হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার ১০ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। একটি সেঁতুর জন্য নানা দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো সুফল মেলেনি। তাই, ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত চলছে এখনকার বাসিন্দাদের পারাপার।

হরিপুর উপজেলার দিলগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজ না থাকায় নড়বড়ে এ সেতুতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি ভেঙে গেলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না এখানকার বাসিন্দাদের। বিশেষ করে রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন তারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার আশ্বাসেও সেখানে হচ্ছে না সেতু। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়ন ও রানীশংকৈল উপজেলার লেহেম্ব ইউনিয়নের লোকজন প্রায় ২০ বছর ধরে দিলগাঁও গ্রামে কুলি নদের কেল্লা মনির ঘাটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। তখন থেকে স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কাজে ভাতুরিয়া ইউনিয়নের ঝাঁরবাড়ি, টেংরিয়া, দিলগাঁও, চাপাসার ও মুলকান এবং লেহেম্বা ইউনিয়নের বশতপুর, লেহেম্বা, বর্ম্মপুর, বদনকন্ড, বিরাশি, চাপোর ও পাতিপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি পানির স্রোতে ভেঙে যায়। তখন মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

কলেজছাত্র বাবুল বলেন, আমরা যখন এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করি তখন ভয় লাগে। বর্ষাকালে অনেক পথ ঘুরে কলেজে যেতে হয়। সময়মতো কলেজে যেতে পারি না। সাঁকোর বদলে এখানে যদি একটা ব্রিজ হলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হতো।

কৃষক রমজান আলী, মোকমুল হোসেন ও আমিরুল বলেন, কুলিক নদের এপার ও ওপারে আমাদের কৃষিজমি রয়েছে। জমি চাষাবাদের জন্য খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে পড়তে হয় মহাবিপাকে। তাই এখানে একটি সেতুর দরকার।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাজাহান সরকার বলেন, দিলগাঁও ঘাটে একটি ব্রিজের জন্য ঠাকুরগাঁও-২ সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা

ঘুম থেকে উঠেই বিছানা পরিষ্কার করা ভালো নাকি খারাপ, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

নৌ-পুলিশের অচল স্পিডবোটের জন্য বরাদ্দ ২০০ লিটার তেল!

‘আমি নাকি গে!’ গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন অক্ষয় কুমার

আড়াই ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল শুরু

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরীক্ষায় জালিয়াতি, প্রতারক গ্রেপ্তার 

মুন্সীগঞ্জে একদিনেই মিলল তিন মরদেহ

ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রহমত আলী আটক

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

অপহরণ মামলায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে আশুলিয়ার এসআই ক্লোজড

১০

ইন্দোনেশিয়ার উত্তাল পরিস্থিতিতেই সব আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হেলিকপ্টার

১১

মেয়াদ উত্তীর্ণ সার্জিক্যাল পণ্য রাখায় তিন ফার্মেসিকে জরিমানা

১২

১০ বিচারকের বদলির আদেশ

১৩

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর মতো কোনো শক্তি নাই : দুদু

১৪

জাতীয় পার্টির প্রেস সেক্রেটারির পদত্যাগ

১৫

সাভারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুস্থ-অসুস্থদের আর্থিক সহায়তা

১৬

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা রিমান্ডে 

১৭

সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপিয়ে তুলতে আ.লীগের কৌশল, দায়িত্বে পুতুল

১৮

নাসুমের স্পিন ঘূর্ণিতে ১০৩ রানে অলআউট নেদারল্যান্ডস

১৯

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মেধাবী প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন জবি শিক্ষার্থীরা

২০
X