রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অন্তঃসত্ত্বা নারীর চিকিৎসা করলেন না ডাক্তার, সমালোচনার ঝড়

অন্তঃসত্ত্বা নারী। পুরোনো ছবি
অন্তঃসত্ত্বা নারী। পুরোনো ছবি

নারীর অন্তঃসত্ত্বার সময়টি খুবই জটিল। এ সময় ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসাসেবা পাওয়া তার অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ৩০ বছর বয়সী এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ডাক্তারের সরণাপন্ন হয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সেই ডাক্তার।

বিষয়টি ডাক্তার নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে জানান। পোস্টটি ভাইরাল হলে তিনি বেশ সমালোচিত হচ্ছেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের গুজরাত রাজ্যের বড়দোরায় এ ঘটনা ঘটে।

ডা. রাজেশ পারিখ নামে ওই ডাক্তার এক্স-এ লিখেন, ‘রোগীদের যেমন তাদের ডাক্তার বাছাই করার অধিকার আছে, তেমনি ডাক্তারদেরও জরুরি অবস্থা ব্যতীত চিকিত্সা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার আছে।’

এরপর তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে আরও কয়েকটি পোস্ট করেন। সেখানে ঘটনার বিস্তারিত জানান।

ওই ডাক্তারের ভাষ্য, তিনি ৩০ বছর বয়সী ওই অন্ত্বঃসত্তা নারীকে বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারণ, ওই নারী তার পরামর্শ মানছিলেন না।

ডাক্তার কী এমন বলেছিলেন যে নারী তা মানতে রাজি হননি? এ প্রশ্নেরও জবাব দেন ডাক্তার। তিনি বলেন, তাকে গর্ভাবস্থার রোগ নির্ণয়ে বেশ কয়েকটি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বলা হয়। এর মধ্যে এনটি স্ক্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো ছিল। যাতে গর্ভের শিশুর কোনো সমস্যা থাকলে আগেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু ওই নারী তার এক অচিকিৎসক বন্ধুর কথায় প্রভাবিত হন। সেই বন্ধুর কথামতো তিনি কোনোমতেই পরীক্ষাগুলো করাতে চাননি।

ডাক্তার বলেন, আমি অনেক বুঝিয়েও সফল না হয়ে তাকে বলেছি, ‘আপনি আরেক ডাক্তার খুঁজেন। যিনি আপনার কথামতো চিকিৎসা করাবে।’

ডাক্তারের এমন মন্তব্যে পোস্টটি এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ভিউ হয়েছে। অসংখ্য রিয়েক্ট পড়েছে। এক্স ব্যবহারকারীরা পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কমেন্ট করছেন।

এক ব্যবহারকারী লেখেন, কমিশন খাওয়ার জন্য ডাক্তার পরীক্ষাগুলো করাতে বলছেন না, বরং এসব পরীক্ষা আসলেই নারীর জন্য প্রয়োজন; বিষয়টি ওই নারীকে বোঝানো উচিত ছিল। তাহলেই আর কোনো সমস্যা হতো না।

আরেকজন লেখেন, রোগীকে আমি দোষ দেব না। ভারতের চিকিৎসাক্ষেত্রের ওপর আস্থাহীনতার নজির এটি। ‘ডাবল মার্কারের’ মতো পরীক্ষাগুলো ব্যয়বহুল। অনেক সময় ডাক্তার কারণ ছাড়াই কমিশন পেতে এসব পরীক্ষা দেন। তাই হয়তো রোগী দ্বিধান্বিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল

খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়

ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত

সুখে-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভ্রার

ঘুষ নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ / সাংবাদিককে গালি দিয়ে ভূমি কর্মকর্তা ফেসবুক পোস্ট

কুয়াশা নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস

নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে প্রবেশ, নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করল কোম্পানি

১০

শহীদ শিহাবের কবর জিয়ারতে জেলা এনসিপির নতুন কমিটির নেতারা

১১

২-৪টা আসনের জন্য কারও সঙ্গে জোট করব না : নুর

১২

‘আমাকে সাসপেন্ড করেন’ বলতে থাকা চিকিৎসককে অব্যাহতি

১৩

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বিকল্প কেউ নেই : কায়কোবাদ

১৪

গণতন্ত্র উত্তরণে খালেদা জিয়ার বেঁচে থাকা জরুরি : অমিত

১৫

চিকিৎসায় অবিশ্বাস্য সাফল্য, ৩ দিনেই ক্যানসার থেকে সুস্থ হলেন নারী

১৬

‘টাইম টু টাইম’ শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন ডা. জুবাইদা

১৭

বিএনপি সবসময়ই ‘পলিটিক্স অফ কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী : রিজভী

১৮

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

মির্জা আব্বাসের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভিপি সাদিক কায়েম

২০
X