কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ন্যাটোর আদলে সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব ইসরায়েলের

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ন্যাটোর আদলে সামরিক জোট গঠন করতে চায় ইসরায়েল। উদ্দেশ্য হলো- ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করা। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর তদবির করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ জুলাই) মার্কিন কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে ইরানের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ করেছেন নেতানিয়াহু। তাতে মার্কিন মুলুকে ইরানবিরোধী মনোভাব সৃষ্টির পাশাপাশি এবার আঞ্চলিক মুসলিম দেশগুলোকেও নিজের পরিকল্পনায় শামিল করতে চান তিনি।

গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেস গলা উঁচিয়ে কথা বললেন নেতানিয়াহু। যদিও অনেক মার্কিন রাজনীতিকদের মধ্যে এ নিয়ে অসন্তোষ ছিল। কিন্তু তাতেও নেতানিয়াহু কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে কথা বলা ঠেকানো যায়নি। মার্কিন পার্লামেন্টে হাজির হয়ে নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করতে পরিকল্পনা করছে ইরান। তাতে চটে গিয়ে ইরানকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

তবে ট্রাম্পকে খেপিয়েই ক্ষান্ত হননি নেতানিয়াহু। চিরশত্রু ইরানকে মোকাবিলায় ‘ন্যাটো’র আদলে সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এ জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের নতুন বন্ধুদের পাশে চান নেতানিয়াহু। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও তার মিত্রদের দমাতেই এমন অভিনব ফাঁদ পাততে চাইছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। যারা ইসরায়েলের বন্ধু হয়েছে বা যারা বন্ধু হতে চায়, তাদের এই জোটে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন কৌশলী নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু বলেন, এটা একটা নিরাপত্তা জোট হবে। তার ভাষায়, এই জোট ঐতিহাসিক আব্রাহাম অ্যাকার্ডের বর্ধিত অংশ হবে। এই চুক্তির আওতায় কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। সেই তালিকায় সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও রয়েছে। এছাড়া বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। আর এর পুরো কারিগর ছিলেন ট্রাম্প।

কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু গেল এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরানের হামলার নজির তুলে ধরেন। তখন ইরান থেকে কয়েকশ মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছিল। তবে সে সময় ইসরায়েলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল মার্কিন বাহিনী। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ইরানের হামলা রুখতে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছিল জর্ডান, মিসর, এমনকি সৌদি আরবও। সেই ঘটনার বর্ণনা করে নেতানিয়াহু বলেন, ওই রাতে ‘জোটের এক ঝলক’ দেখেছিল এই অঞ্চল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের

তৃতীয় দিনের মতো চলছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

বাসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, চালক আটক

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিয়মিত খেলেই কি বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি?

যেসব বিভাগ থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু

ভারতের কাশির সিরাপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

এক ক্লিকেই জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা

ভাইয়ের চাপাতির কোপে ছোট ভাই নিহত

রুক্মিণীকে নিয়ে যা বললেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী

১০

বিকাশ-নগদ-রকেটে লেনদেনের নতুন মাধ্যম, চার্জ কত

১১

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, বেরোবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার 

১২

সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়ি এখন কিন্ডারগার্টেন স্কুল

১৩

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় ক্রিকেটার নিহত

১৪

সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

১৫

অভিনয়ের বাইরে অন্য এক কৃতি

১৬

একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম, জিততে পারল না বাংলাদেশ

১৭

কফ সিরাপ কি স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ, যে পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক

১৮

অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি

১৯

৬ দফায় যত বাড়ল স্বর্ণের দাম

২০
X