সিরিয়ায় ইরানের গোপন অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এলিট ফোর্সের সেনারা এ হামলা চালিয়েছে। এতে কারাখানাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টম্বর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, গোপন ওই কারখানায় নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়। গত সপ্তাহে এ অভিযান চালানো হয়।
সিরিয়ার ভূখণ্ডের ভেতর প্রবেশ করে ইরানের তৈরি করা একটি গোপন ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েলের এলিট ফোর্সের সেনারা। গত সপ্তাহে তারা এই অভিযান চালায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোপন এ কারখানায় ইসরায়েলি জাসলা ইরান ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর জন্য বড় ধাক্কা। কেননা সিরিয়ায় তৈরি এসব ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মিত্রগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া ইরানের লক্ষ্য ছিল।
ইসরায়েল এর আগেও সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ধ্বংস করেছে। ফলে মাটির নিচে কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করে ইরান। এ পরিকল্পনা অনুসারে এটি মাটির নিচে স্থাপন করা হয়। কারখানাটি মাটির এতোই গভীরে স্থাপন করা হয়েছিল যে বিমান হামলার মাধ্যমে এটিকে ধ্বংস করা সম্ভবপর ছিল না। ফলে স্থল হামলা চালিয়ে এটিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের স্পেশাল ফোর্সের সেনারা গত সপ্তাহে হেলিকপ্টারে করে এলাকাটিতে যায়। এ সময় সিরিয়ার সেনাদের ঠেকাতে সেখানে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়।
সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, কারখানাটি থেকে গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এরপর বিস্ফোরক দিয়ে কারখানাটি ধ্বংস করে দেয় তারা। এ সময় কারখানায় থাকা সিরিয়ান গার্ডদের কয়েকজনকে হত্যা করে তারা।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা কয়েকজন ইরানিকে আটক করেছে। তবে আটকদের সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারখানাটি এর আগেও দুবার হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। তবে বিষয়টি অতি ঝূঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেসব পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
মন্তব্য করুন