কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরিয়ায় দূতাবাস চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল তুরস্ক

তুরস্ক ও সিরিয়ার পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্ক ও সিরিয়ার পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ায় দূতাবাস ফের চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তুরস্ক। সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দামেস্কে তুর্কি দূতাবাসের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করবেন কর্মকর্তারা।

আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান দামেস্কে দূতাবাস চালুর বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দূতাবাসের কর্মীদের একটি দল দামেস্কে যাচ্ছেন। তারা পথে রয়েছেন। শনিবার থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে।

ফিদান বলেন, তুরস্ক রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে রক্তহীন পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার এখন একটি সার্বভৌম জাতীয় সরকার রয়েছে। যারা তার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম এবং এই সরকার পিকেকে বা ওয়াইপিজির মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেবে না। বা অন্য কোনো শক্তিকে তার মাটিতে প্রশ্রয় দেবে না।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সিরিয়ায় দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ ও বাশার আল আসাদ সরকারের পতন নিয়ে কথা বলেছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। কাতারের দোহা ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা এবং প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সিরিয়ার জন্য কী করেছেন তা তুলে ধরেন।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ এক নতুন সিরিয়াকে দেখছি। সরকার ভেঙে পড়েছে এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ অন্যদের হাতে। অবশ্যই, এটি একদিনে ঘটেনি। গেল ১৩ বছর ধরে দেশটি অশান্ত ছিল।

তিনি বলেন, এই মূল্যবান সময় সরকার নিজের জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার জন্য ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ কাজে লাগায়নি। যখন সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো, তখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিজেই সরকারকে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি স্থাপনের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটিও প্রত্যাখ্যাত হয়।

হাকান ফিদান বলেন, আসাদ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের প্রয়োজন মেটানোর মতো সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। তারা মৌলিক সেবাগুলোও দিতে ব্যর্থ হয়। অর্ধেক জনসংখ্যা নিজ দেশেই বা দেশের বাইরে বাস্তুচ্যুত। এতে অভিবাসনের ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করেছে। সরকার টিকে থাকার জন্য মাদক বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করছিল।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে, সিরিয়া এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে সিরিয়ানরা নিজ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আজ আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সিরিয়ার জনগণ একা এটি করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সাহায্য করতে হবে। সিরিয়া জাতীয় ঐক্য, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং জনগণের কল্যাণকে অনেক গুরুত্ব দেয়।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রশাসনকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তির নীতি থেকে কখনো সরে আসা যাবে না। প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা থাকা উচিত নয়। এখন সময় একত্রিত হওয়ার এবং দেশ পুনর্গঠনের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আসলেই কি পিসিবির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন পাইক্রফট?

কুমিল্লায় ফের বাড়ছে স্ক্যাবিসের সংক্রমণ

গার্দিওলার চোখে ইতিহাসের সেরা কোচ কে?

সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শিল্প গ্রুপের দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার 

আজ প্রথম প্রেম মনে করার দিন

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পিটিশনে সই করল হাজারো ইসরায়েলি

কীভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু নাকি চিকুনগুনিয়া হয়েছে

চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা

নিখোঁজের এক মাস পর শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মিলল জামাইয়ের লাশ

শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

১০

টানা ৫ দিন বৃষ্টি ঝরতে পারে যেসব অঞ্চলে

১১

বাকৃবিতে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস

১২

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

১৩

বিয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে এসে খুন হলেন নারী 

১৪

পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত

১৫

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

১৬

মেন্টরস' স্টাডি অ্যাব্রোডের আয়োজনে ‘স্টাডি ইন দ্য ইউকে অ্যান্ড আয়ারল্যান্ড ওপেন ডে’

১৭

পাকা চুল বা দাড়ি তুলে ফেলা কি জায়েজ?

১৮

শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ

১৯

পূর্বপুরুষের হস্তান্তর করা জমি দাবি করে আরেক জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ

২০
X