রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৭ শিশু নিহত

নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ছিল ছয় বছর। ছবি : সংগৃহীত
নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ছিল ছয় বছর। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৭ জনই শিশু।

গাজার সিভিল ডিফেন্স (উদ্ধারকারী সংস্থা) জানায়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শিশু ছিল মাত্র ১৪ মাস বয়সী। এ হামলায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। খবর এএফপি।

গাজার জাবালিয়া আল-নাজলা এলাকায়, যেটি দক্ষিণ-পশ্চিম জাবালিয়ার অংশ, সেখানে হামলার সময় নিহতরা তাদের বাড়িতেই ছিল। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ছিল ছয় বছর। এ ভয়াবহ হামলায় হতাহতদের মধ্যে প্রায় সবাই ছিলেন নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক।

ইসরায়েলি সেনারা হামলার পর জানিয়েছে, তারা হামাসের একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যেখানে কিছু ‘সন্ত্রাসী’ অবস্থান করছিল, যাদের তারা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছিল।

তবে, এই আক্রমণে নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সাম্প্রতিক হামলায় ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন নিহত হয়।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং গ্রাউন্ড অপারেশনগুলোর কারণে গাজা উপত্যকায় প্রায় ১৪ মাস ধরে চলমান এই সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস আক্রমণ করলে ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৫ হাজার ২০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

গত কয়েক মাস ধরে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার গাজার যুদ্ধ থামানোর জন্য একাধিকবার আলোচনা শুরু করেছে। তবে, এতকিছুর পরও যুদ্ধ থামছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘সতর্ক আশাবাদ’ পোষণ করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমনকি যুদ্ধবিরতি এলেও, দীর্ঘকালীন শান্তি স্থাপনের জন্য আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা

এবার নিজেদের মাঠে নাস্তানাবুদ লিভারপুল

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

১০

সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, ৬ শ্রমিক দগ্ধ

১১

বাংলাদেশ সমাজকর্ম শিক্ষক সমিতির আত্মপ্রকাশ 

১২

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের স্বাস্থ্য চুক্তি

১৩

ভূমিকম্পে নিহত রাফিকে শেষ দেখা দেখলেন মুর্মূষু মা

১৪

নরসিংদীতে ফের ভূমিকম্প, বাড়ছে আতঙ্ক

১৫

বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের বিকল্প নেই : দুলু

১৬

এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, ৩২ ভবনে এখনো মানুষের বাস

১৭

মেট্রোরেল লাইনের ওপর পড়ল ড্রোন, অতঃপর...

১৮

জাতীয় নার্স কমিশন হতেই হবে : ফরহাদ মজহার

১৯

রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন

২০
X