কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজার সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ স্বীকার করে ট্রাম্পের বার্তা

গাজায় খাদ্যের জন্য হাহাকার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় খাদ্যের জন্য হাহাকার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজা। উপত্যকায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। ফলে প্রতিনিয়ত খাদ্যসংকটে জীবন বাঁচাতে যুদ্ধ করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের সংস্থা ও উপত্যকার বাসিন্দারা এ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের দাবি করে আসছিলেন। এবার এ বিষয়টি স্বীকার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, গাজার মানুষ অনাহারে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাবে।

শুক্রবার (১৬ মে) সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবুধাবিতে তার উপসাগরীয় সফরের শেষ দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা গাজার দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা এটি সমাধান করব। অনেক মানুষ অনাহারে আছে। গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বিমান হামলার মধ্যে তার এ মন্তব্য এসেছে, যা গত রাতে আরও তীব্র হয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গত দশ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কঠোর অবরোধ আরোপের ফলে ক্ষুধার সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে অস্বীকার করে আসছেন। ট্রাম্পের মন্তব্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার আরও প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্পের সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে আশা করা হয়েছিল যে, এটি গাজায় যুদ্ধবিরতি বা মানবিক সহায়তার জন্য নতুন উদ্যোগ আনবে। কিন্তু গত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সহিংসতা বেড়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, বুধ ও বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় ২৫০ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত আরও বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় কমপক্ষে ৫৩ হাজার ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ ১৯ হাজার ৯১৯ জন।

উপত্যকার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ আরও হাজার হাজার লোককে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এই যুদ্ধ শুরু হয়, যেখানে প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেট্রোরেল কার্ডে অনলাইন রিচার্জ চালু, কীভাবে করবেন

জুবিন গার্গের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, চাঞ্চল্যকর দাবি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর

‘এত ঋণ নিয়ে শীর্ষ লিগে খেলার যোগ্যই নয় বার্সা’

রোহিঙ্গাদের আরও ৫০ লাখ ডলার অনুদান দক্ষিণ কোরিয়ার

যুক্তরাজ্যে ভিসা জালিয়াতি প্রমাণিত হলে যে শাস্তি

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারকালে ২৮ জনকে উদ্ধার

খুমেক হাসপাতালে পরিত্যক্ত নবজাতকের পাশে তারেক রহমান 

জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপে কী কথা হলো ট্রাম্পের?

ফর্টিফাইড রাইস উৎপাদন বিষয়ে দুদিনের প্রশিক্ষণ

ইথিওপিয়া থেকে আসা ছাই ভারত-পাকিস্তানের আকাশেও

১০

শিক্ষার্থীকে রাতভর র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ, উত্তাল ক্যাম্পাস

১১

কফিন থেকে হুট করে ভেসে এলো শব্দ, অতঃপর...

১২

‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া ছাড়া উপায় নেই’

১৩

রাতের জামতৈল স্টেশন যেন ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্য

১৪

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে সবার প্রতি ব্যক্তিগত চিকিৎসকের অনুরোধ

১৫

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরও ৬৫ নেতা

১৬

পোস্টাল ব্যালট / ভোট দিতে ৩১ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

১৭

বোরখা পরে পার্লামেন্টে আসা সেই সিনেটরের পদ স্থগিত

১৮

নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : রিজভী 

১৯

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি মারা গেছেন

২০
X