যদি ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে আরও ‘কঠোর ও সিদ্ধান্তমূলক’ জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘ইরান এরই মধ্যে হামলার উপযুক্ত ও জোরালো জবাব দিয়েছে।’ খবর মেহের নিউজ এজেন্সির।
রোববার (১৫ জুন) মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো বাধা ছাড়াই এবং ওয়াশিংটনের (আমেরিকার) সরাসরি সমর্থন ও সবুজ সংকেত পেয়ে ইসরায়েল এ অঞ্চলে অপরাধ করছে।’ পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ‘ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া ইসরায়েল কোনো পদক্ষেপ নিতে পারত না। আজ যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মার্কিন সমর্থন ও অনুমোদন নিয়ে হচ্ছে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট আঞ্চলিক দেশগুলোকেও অনুরোধ করেছিলেন, তারা যেন ইসরায়েলের এ অপরাধের বিরুদ্ধে স্পষ্ট, দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আমেরিকানদের সমর্থন চাইছেন। এক ভিডিওবার্তায় তিনি ইংরেজিতে এই সমর্থন কামনা করে বলেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় লড়াই করছে। নেতানিয়াহু আমেরিকাকে উদ্দেশ করে বলেন, আমাদের শত্রু তোমাদেরও শত্রু। আজ বা কাল- ওরা সবাইকে হুমকিতে ফেলবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে যে হামলা হয়েছে, এর সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো সম্পর্ক নেই। রোববার সকালে নিজের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আজ রাতে যে হামলা হয়েছে, এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।’
ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ইরান যদি যে কোনো উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে মার্কিন সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ শক্তিতে ও অল্প সময়ের মধ্যেই পাল্টা আঘাত হানবে।’
তবে তিনি আশাবাদও প্রকাশ করে বলেন, চাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা চাইলে সহজেই এই রক্তক্ষয় বন্ধ করার সমাধান দিতে পারি।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে পারমাণবিক সমঝোতায় পৌঁছাতে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। যদি সমঝোতা না হয় তাহলে পরিণতি ভালো হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ার করেছিলেন।
ইরানে হামলা শুরু হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ওনাদের ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, আজ হচ্ছে সেই আলটিমেটামের ৬১তম দিন।’
মন্তব্য করুন