কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কূটনৈতিক সমাধানকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত।

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে থাকলেও ইরান এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান বলে জর্ডানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে আরাগচি বলেন, ইরান এখনো ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির (জেসিপিওএ) মতো আলোচনার পথ খোলা রাখতে চায়। তবে এই প্রক্রিয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল, যারা প্রকাশ্যেই কূটনৈতিক সমাধানের বিরোধিতা করছে।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কূটনীতিকে শক্তি হিসেবে দেখি, সংকট নয়। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার যে সমঝোতা আমরা ২০১৫ সালে করেছিলাম, সে পথেই আমরা আবারও ফিরে যেতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু ইসরায়েল প্রকাশ্যে কূটনৈতিক সমাধানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা যুদ্ধ চায়, দখল চায়, আক্রমণ চায়- শান্তির কোনো সুযোগকেই তারা মূল্য দিচ্ছে না।

২০১৫ সালের ঐতিহাসিক চুক্তি, জেসিপিওএ অনুযায়ী ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করেছিল এবং এর বদলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর থেকেই ইরান ও পশ্চিমাদের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়তে থাকে।

এখন যখন ইরান পুনরায় আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করছে, তখন ইসরায়েলের অবস্থান আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের ভেতরে একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যার জবাবে ইরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইরানের কূটনৈতিক অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে- বিশেষ করে তখন, যখন ইসরায়েল নিজেই অঞ্চলজুড়ে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।

আরাগচির মন্তব্য তুলে ধরে আন্তর্জাতিক মহলে এই প্রশ্ন আরও জোরালোভাবে উঠছে। সত্যিকার অর্থে শান্তি চায় কে, আর সংঘাতকে জিইয়ে রাখতে চায় কে?

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাটডাউন এড়াতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস

১৩ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

জালনোটসহ তিন কিশোর আটক

ঢাকায় শীত অনুভব, সকালে তাপমাত্রা নেমে ১৯ ডিগ্রিতে

চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে রেকর্ড অভিবাসীর মৃত্যু

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চাই : মান্না

১০

মোটরসাইকেলে এসে আগুন দিয়ে পালাল দুর্বৃত্তরা

১১

জামালপুরে একাধিক পয়েন্টে চেকপোস্ট

১২

পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৩

ইভ্যালির রাসেলের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড

১৪

সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটক ৪

১৫

ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

১৬

আ.লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে ছিল ৯ রাউন্ড গুলির খোসা

১৭

উত্তরায় যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

১৮

জবি ছাত্রী হলে ছাত্রদলের উপহার সামগ্রী বিতরণ

১৯

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার কফিল উদ্দিনের

২০
X