

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে সামরিক শক্তিতে দুর্বল করে রাখতে নতুন কৌশল সাজায় ইসরায়েল। যাতে সায় দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই ইরানের একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় নেতানিয়াহুর বাহিনী। এই হামলার মাধ্যমে ইরানকে সামরিক সক্ষমতার মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। কিন্তু ইরান যেভাবে নিজেদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা হামলা চালায় তাতে শত্রুদের বুকে কম্পন ধরে যায়। তারা ভাবতেও পারেনি আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশ এত ভয়ঙ্করভাবে আঘাত হানবে।
গত জুনে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধ ছিল চোখে পড়ার মতো। ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে একাধিক স্থাপনায় নিখুঁত হামলা চালায় তেহরান। এই হামলা থেকে বাঁচতে ইসরায়েলিরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিল, এমনকি তাদের নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেও বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন।
১২ দিনের ওই যুদ্ধের ঘটনা তুলে ধরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সামরিক বাহিনী ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়ে শত্রুদের বুকে কম্পন তৈরি করে এবং তাদের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য করা হয়। কারণ তারা ভাবতেও পারেনি ইরান এত দ্রুত পাল্টা হামলা চালাবে। সেই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে শত্রুরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। আরাঘচি বলেন, ওই যুদ্ধের প্রথম থেকেই ইসরায়েল-আমেরিকা আত্মসমর্পণের জন্য নিঃশর্ত সমঝোতার বার্তা পাঠাতে থাকে। এক পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আরাগচি আরও বলেন, শত্রুরা ভেবেছিল দুই-তিন দিনের মধ্যেই ইরান আত্মসমর্পণের জন্য হাত উঁচু করবে। তবে তারা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রজ্ঞা বুঝতে পারেনি। কারণ তার দৃঢ়তায় ইরান দ্রুতই সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করে দেশরক্ষায় যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন